—ফাইল চিত্র
অভিষেকের আইএসএলে টানা দু’ম্যাচে হার। প্রথম ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফল ছিল ০-২। চব্বিশ ঘণ্টা আগে দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি ৩-০ চূর্ণ করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তার উপরে রক্ষণের প্রধান ভরসা ড্যানি ফক্সের চোট। শনিবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে সম্ভবত অধিনায়ককে ছাড়াই দল নামাতে হবে লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলারকে।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ম্যাচের মাত্র ছ’মিনিটেই পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফক্স। এর পরেই কার্যত আত্মসমর্পণ করে লাল-হলুদ রক্ষণ। চোট কতটা গুরুতর অধিনায়কের? এসসি ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ অ্যান্টনি গ্রান্ট বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে বলা কঠিন। ওর পা এখনও ফুলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার স্ক্যান করার পরেই বোঝা যাবে চোট কতটা গুরুতর।’’ চোট রয়েছে আর এক বিদেশি অ্যারন জোশুয়া আমাদিরও। তাঁর মাঠে ফেরা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ডিফেন্ডার গুরতেজ সিংহও পুরো সুস্থ নন।
পরিস্থিতি সামলাতে কলকাতায় থাকা রিজার্ভ দল থেকে ডিফেন্ডার অনিল চৌহান, মিডফিল্ডার মিলন সিংহকে গোয়ায় পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। শনিবারের ম্যাচে অবশ্য তাঁদের খেলানোর সম্ভাবনা নেই। কারণ, দলে যোগ দেওয়ার পরে বাধ্যতামূলক নিভৃতবাস পর্ব কাটাতে হবে।
দুর্বল রক্ষণের পাশাপাশি স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতাও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে লাল-হলুদ শিবিরে। দু’ম্যাচে পাঁচ গোল খেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। একটিও গোল করতে পারেননি বলবন্ত সিংহ, জেজে লালপেখলুয়া-রা। হতাশায় ফাওলার ম্যাচের পরে বলেই ফেলেছিলেন, ‘‘কয়েক জন ভারতীয় ফুটবলারের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, ওদের আগে কেউ কোচিংই করায়নি।’’ এই পরিস্থিতিতে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ইউজেনসন লিংডো এবং সি কে বিনীতকে খেলানোর কথা ভাবছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যেরা। ম্যাচ হারার পরে বুধবার ছুটি দিয়েছিলেন ফাওলার। গ্রান্ট বলছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দুই দলের বিরুদ্ধে আমরা হেরেছি। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দু’টো ম্যাচেই আমরা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম।’’ নর্থ ইস্টকে হারিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? এভার্টনের প্রাক্তন তারকার কথায়, ‘‘সবে দু’টো ম্যাচ হয়েছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি, ভাল ফুটবল খেলার। এগারো জন ফুটবলারকে বলের পিছনে দাঁড় করিয়ে রক্ষণাত্মক খেলা আমাদের লক্ষ্য নয়। এ ভাবেই আমরা বাকি ম্যাচগুলো খেলতে চাই। আশা করছি, আমাদেরও সুযোগ আসবে।’’