Sports News

ডার্বির মহড়ায় তাল ঠুকছে কটক, প্রহর গুনছে বাঙালি

ডার্বির আঁচ ইতিমধ্যেই গায়ে লাগতে শুরু করেছে জগন্নাথ দেবের শহরের। বৈশাখের কাঠফাটা রোদে পুড়ছে গোটা ভুবনেশ্বর, দেখা নেই এক ফোঁটা বৃষ্টিরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ২৩:৩৭
Share:

ডার্বির আঁচ ইতিমধ্যেই গায়ে লাগতে শুরু করেছে জগন্নাথ দেবের শহরের। বৈশাখের কাঠফাটা রোদে পুড়ছে গোটা ভুবনেশ্বর, দেখা নেই এক ফোঁটা বৃষ্টিরও। কিন্তু এরই মাঝে ফুটবল পাগল ভুবনেশ্বরের মন ভাল করতে ফিনিক্স পাখির মত উদয় হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম আবেগের ম্যাচ। গরমে নাজেহাল মানুষগুলোকে সাময়িক স্বস্তি দিতে ফুটবল দেবতার এই একটা চালই হয়ত যথেষ্ট ছিল।

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ বরাবরই আবেগের। কলকাতা ডার্বি নামে পরিচিত হলেও দেশের যে প্রান্তেই হোক না কেন গ্যালারি হাউসফুল হবে এটাই স্বাভাবিক। ম্যারম্যারে ফেডারেশন কাপের চমক শেষ ২ দিনে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে আগামীকাল বরাবটিতে হতে চলা ইস্ট-মোহনের এই ম্যাচ। ইতিমধ্যেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন সব হোটেলই হাউসফুল। ভুবনেশ্বর থেকে কটক অফ সিজনে সব হোটেল মালিকদের মুথেই চওড়া হাসি এনে দিয়েছে এই একটি ম্যাচ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবলপ্রেমী মানুষ ইতিমধ্যেই আস্তানা গেড়েছেন সমুদ্র তীরবর্তী এই শহরে।

আরও পড়ুন

Advertisement

এশিয়ান কুস্তিতে সোনা জয় পুনিয়ার

মহাডার্বি ঘিরে ভুবনেশ্বরে যে ভাবে সাজসাজ রব ততধিক চিন্তার আবহ দুই দলের অন্দরমহলে। তবে সঞ্জয় সেনের থেকে কিছুটা বেশি কপালে ভাঁজ পড়ছে রঞ্জন চৌধুরির। চোটের জন্য আইজল ম্যাচে উগান্ডার ডিফেন্ডার বুকেনিয়ার সার্ভিস পায়নি লাল-হলুদ ব্রিগেড। কার্ড সমস্যায় ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ড জেনারেল মেহতাব হোসেনও। তবে ডার্বিতে মেহতাবের মাঠে নামার বিষয় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু টিম সূত্রে খবর এখনও পুরোপুরি চোটমুক্ত নন বুকেনিয়া। তবে আইজল ম্যাচে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া অর্ণব পুরো ফিট। এ দিন ইস্টবেঙ্গল কোচ রঞ্জন চৌধুরি বলেন, এখনও দল নিয়ে কোনও পরিকল্পনা ঠিক করিনি। কালকে প্রাতরাশের পরই চূড়ান্ত দল ঠিক করব। চোটগ্রস্থ নামি প্লেয়ারের বদলে ফিট ১১ জন ফুটবলারকে মাঠে নামানোয় বিশ্বাসী আমি।’ এ দিন কটক থেকে লাল-হলুদের মিল্ডফিল্ড জেনারেল মেহতাব হুসেন বলেন, ‘কালকের ম্যাচের জন্য দল পুরো তৈরি। মানসিক ভাবে আমরা সকলেই বদ্ধপরিকর এই ম্যাচ জেতার জন্য।’

অন্যদিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে প্লেয়ারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফোনে ফুটবলারদের ধরাহলেও নিষেধাতজ্ঞার করন দেখিয়ে এড়িয়ে যান তাঁরা। বহুবার চেষ্টা করলেও ফোনে ধরা যায়নি মোহন-সারথী সঞ্জয় সেনকেও। তবে টিম সূত্রে খবর মরশুমের শেষ ডার্বি জিততেও বদ্ধ পরিকর ডাফি-কাটসুমিরা। ঘুটি সাজাচ্ছেন সঞ্জয় সেনও।

সব মিলিয়ে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় অকাল দিপাবলি-অকাল দোলযাত্রার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে কটক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement