প্রথম জয়ের উচ্ছ্বাস বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারদের। ছবি: বিসিসিআই
মহিলাদের আইপিএলে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বুধবার স্মৃতি মন্ধানারা ৫ উইকেটে হারালেন ইউপি ওয়ারিয়র্জ়কে। প্রথম ব্যাট করে উত্তরপ্রদেশের ইনিংস ১৯.৩ ওভারে ১৩৫ রানে শেষ হয়ে যায়। জবাবে ১৮ ওভারে বেঙ্গালুরু করল ৫ উইকেটে ১৩৬ রান।
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর ষষ্ঠ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখলেন মন্ধানারা। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছেন তাঁরা। সেই হিসাবে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের জয় অনেকটাই সান্ত্বনার। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক। প্রথম ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও ব্যাটিং বিপর্যযের মুখে পড়ল উত্তরপ্রদেশের ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নামা গ্রেস হ্যারিস ছাড়া কেউই বলার মতো রান করতে পারলেন না। তিনি করলেন ৩২ বলে ৪৬ রান। ৫টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন তিনি। এ ছাড়া কিরণ নভগিরে ২৬ বলে ২২ রান এবং দীপ্তি শর্মা ১৯ বলে ২২ রান করেছেন। কিরণ ২টি চার এবং ১টি ছক্কা মেরেছেন। দীপ্তির ব্যাট থেকে এসেছে ৪টি বাউন্ডারি।
বেঙ্গালুরুর সফলতম বোলার এলিস পেরি ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২৩ রানে ২ উইকেট সোফি ডিভাইনের। ২৭ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন শোভনা আশা। একটি করে উইকেট মেগান শাট এবং শ্রীয়াঙ্কা পাতিলের।
জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও ব্যর্থ হলেন বেঙ্গালরু অধিনায়ক মন্ধানা। ৩ বল খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। অন্য ওপেনার ডিভাইনও তেমন রান পেলেন না। তাঁর অবদান ৬ বলে ১৪। ২টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না তিন নম্বরে নামা পেরিও। ১৩ বলে ১০ রান করে আউট হলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। হেথার নাইট ৫টি চারের সাহায্যে করলেন ২১ বলে ২৪ রান। দলের ইনিংসকে মূলত টানলেন কনিকা আহুজা। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা মারলেন তিনি। ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচা ঘোষও। মূলত তিনিই দলকে পৌঁছে দিলেন প্রতিযোগিতার প্রথম জয়ের দরজায়। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৩২ বলে ৩১ রান করে। মারলেন ৩টি চার এবং ১টি ছয়।
উত্তরপ্রদেশের সফলতম বোলার দীপ্তি ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। একটি করে উইকেট হ্যারিস, দেবিকা বৈদ্য এবং সোফি এলকেস্টোনের।