বীরেন্দ্র সহবাগ। —ফাইল চিত্র।
বীরেন্দ্র সহবাগের কাছে নাকি নির্বাচক হওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। সহবাগ নিজে যদিও জানিয়েছেন যে, তাঁকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
নির্বাচক হওয়ার আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শোনা যায় তার আগেই সহবাগের কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল। কিন্তু এক সংবাদমাধ্যমকে বীরু বলেন, “আমার কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি।”
চেতন শর্মা প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর সেই জায়গা এখনও খালি রয়েছে। বিসিসিআই জানিয়েছে যে, উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচক নেওয়া হবে। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পদত্যাগ করেন চেতন। এক সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনের সামনে মুখ খোলেন তিনি। সেখানেই বিভিন্ন ক্রিকেটারের সম্পর্কে কথা বলেন চেতন। যা ভাল ভাবে নেয়নি বোর্ড। পরে নিজেই সরে যান তিনি। তার পর থেকে দল নির্বাচনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শিবসুন্দর দাস, এস শরৎ, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সলীল আঙ্কোলা। সাময়িক ভাবে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শিবসুন্দর।
বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের হয়ে অন্তত সাতটি টেস্ট বা ১০টি এক দিনের ম্যাচ বা অন্তত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা আবেদন করতে পারবেন। সেই ক্রিকেটারদের অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী চেতনও আবার আবেদন করতে পারবেন। যদিও তিনি তা করবেন না বলেই মনে করছে বোর্ড। ৩০ জুনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
উত্তরাঞ্চলে হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, গৌতম গম্ভীরের মতো ক্রিকেটারেরা রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অবসরের পর এখনও পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি। সহবাগের হয়েছে। তাই তাঁর নাম উঠে আসে। শোনা যায়, বোর্ড তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। কারণ, প্রধান নির্বাচক হলে বোর্ডের তরফে বছরে এক কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু বিভিন্ন সম্প্রচারকারী সংস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করা সহবাগ সেই সব ছেড়ে ওই টাকার জন্য নির্বাচক হতে চাইবেন না বলে জানা যায়।
বিবেক রাজদান, অজয় রাতরা, রীতিন্দর সিংহ সোধি এবং অতুল ওয়াসনদের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে তাঁরা আবেদন করবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি।