রানের খরা নিয়ে কথা বললেন কোহলী। ফাইল ছবি
আট বছর আগে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে খুবই খারাপ সময় কেটেছিল বিরাট কোহলীর। পাঁচটি টেস্ট খেলে মাত্র ১৩৪ রান করেছিলেন। বার বার অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হচ্ছিলেন। সেই সময়টা পরে কাটিয়ে উঠলেও, এখন অন্য সমস্যার সামনে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। নিজেই স্বীকার করেছেন, যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা থেকে বেরিয়ে আসা আরও কঠিন।
কেন এমন হচ্ছে কোহলীর?
এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যর্থতার পিছনে একটা সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। তা হল, অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়া। এখন তিনি বিভিন্ন ধরনের বলে আউট হচ্ছেন। বাউন্সার, সুইং, কাটার, অফস্পিন, লেগস্পিন, বাঁ হাতি স্পিন সব ধরনের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। নির্দিষ্ট কোনও বলে আউট হওয়ার ঘটনা কম বলেই তাঁর কাছে চটজলদি কোনও সমাধানসূত্র নেই।
এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের শোয়ে কোহলী বলেছেন, “ইংল্যান্ডে যেটা হচ্ছিল, সেটা নির্দিষ্ট একটা ধারা মেনে। সেটা শোধরানোর জন্য কাজ করেছিলাম এবং সফল হয়েছিলাম। এখন আলাদা করে কোনও একটি বিষয়কে চিহ্নিত করে বলতে পারবেন না যে এখানে আমার সমস্যা হচ্ছে।” কোহলীর সংযোজন, “আমার কাছে ব্যাপারটা বোঝা বেশ সহজ। কারণ, নিজেই বুঝতে পারছি কখন ভাল ব্যাট করছি। এটা ইংল্যান্ড (২০১৪) সফরে ছিল না। তখন খালি মনে হত, ভাল ব্যাটিং করছি না। তাই একটা নির্দিষ্ট জিনিসের উপর পরিশ্রম করে গিয়েছি। এখন সেটা নেই।”
তবে এই সময়টা যে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন, সেটা মনে করেন কোহলী। বলেছেন, “আমি জানি এখন কেমন খেলছি। বিভিন্ন পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিবেশ এবং বোলিংয়ের বৈচিত্র সামলাতে না পারলে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এত দূর আসতেই পারতাম না। ফলে এই সময়টা কী ভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, সেটা বোঝা আমার কাছে অসম্ভব নয়। তবে কোনও ভাবেই এই সময়টা ভুলে যেতে চাই না।”
এশিয়া কাপের জন্যে অনেক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন কোহলী। ছন্দহীন থাকলেও তাঁকে নিয়ে গোটা দেশেরই আশা রয়েছে। কোহলী জানেন যে জীবনে উত্থান-পতন থাকবে। তাই বলেছেন, “এই সময়টা কেটে গেলে বুঝতে পারব কী ভাবে আরও ধারাবাহিক হওয়া যায়। আমি কখনও এই অভিজ্ঞতা ভুলতে চাই না। বরং শিখতে চাই।”