কভার অঞ্চলে একটি চার মারার পথে বিরাট কোহলি। ইতিবাচক দেখাচ্ছে তাঁকে। ছবি: রয়টার্স
শুরুর কয়েকটি ওভার দেখে মনে হয়েছিল, প্রথম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই হয়তো ইনিংস শেষ হয়ে যাবে ভারতের। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আয়ার। তাঁদের জুটি ভারতকে টেনে নিয়ে গেল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের রান ৩ উইকেটে ৯১। বিরাট ৩৩ ও শ্রেয়স ৩১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল শুরু থেকে সমস্যায় পড়ছিলেন। কাগিসো রাবাডা ও মার্কো জানসেনের বল সুইং করছিল। খেলা শুরু হওয়ার আগে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছিলেন তাঁরা। রাবাডার বলে পুল মারার লোভ সামলাতে না পেরে ৫ রানের মাথায় আউট হন রোহিত।
যশস্বী কয়েকটি ভাল শট খেললেও খুব বেশি সাবলীল দেখাচ্ছিল না তাঁকে। বিশেষ করে বাঁ হাতি নান্দ্রে বার্গারের সামনে সমস্যায় পড়ছিলেন তিনি। বল কোন দিকে সুইং করবে বুঝতে পারছিলেন না। ১৭ রানের মাথায় বার্গারের বলে খোঁচা মেরে আউট হন যশস্বী। প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান করা শুভমন গিলও বেশি ক্ষণ থাকেননি। লেগ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া বার্গারের বল গ্লাভসে লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২ রান করেন শুভমন। অভিষেকেই নজর কাড়েন বার্গার।
মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেখান থেকে খেলা ধরেন বিরাট ও শ্রেয়স। ইনিংসের শুরুতেই অবশ্য দু’জনেরই ক্যাচ পড়ে। তার ফায়দা তোলে ভারতীয় জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা সুইংয়ের আশায় অনেক বেশি লেগ স্টাম্প ও পা লক্ষ্য করে বল করছিলেন। সেটা কাজে লাগান দু’জনে। কয়েকটি চার মারায় চাপ খানিকটা কমে।
অহেতুক ঝুঁকি নিচ্ছিলেন না বিরাট ও শ্রেয়স। তবে মারার বল মারছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৯১ রান করে ভারত। দুই ব্যাটার ৬৭ রানের জুটি গড়ে খেলছেন। মধ্যাহ্নভোজের পর একই জায়গা থেকে শুরু করবে ভারত। দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে হলে বড় ইনিংস খেলতে হবে এই দুই ব্যাটারকে।