বিজয় হজারের সেমিফাইনালে শতরানের পর রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ছবি: টুইটার থেকে
কোয়ার্টার ফাইনালে এক ওভারে সাতটি ছক্কা মেরেছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এ বার সেমিফাইনালে ১২৬ বলে ১৬৮ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। অসমের বিরুদ্ধে তাঁর দাপটে ৩৫০ রান তুলে নিল মহারাষ্ট্র। বিজয় হজারে ট্রফির সেমিফাইনালেও রুতুরাজের দাপট।
সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মহারাষ্ট্র। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড বি-তে ১৮টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন রুতুরাজ। দু’দিন আগে ১৫৯ বলে ২২০ রান করেন তিনি। সেই ম্যাচেই ৪৯তম ওভারে একটি নো বল-সহ সাতটি বলে সাতটি ছক্কা মারেন রুতুরাজ। দলের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নেন তিনি। সেমিফাইনালে অঙ্কিত বাওনে ১১০ রান করেন। ৪১ রান করেন সত্যজিৎ বচ্চভ। রুতুরাজ যে ভাবে বুধবার রান করছিলেন, আরও একটি দ্বিশতরানের ইনিংস শুধু সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছিল। কিন্তু রিয়ান পরাগের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে ভাল লড়াই করল অসমও। কুণাল সইকিয়ারা করলেন ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান। মাত্র ১২ রানে জিতল মহারাষ্ট্র। স্বরূপম পুরকায়স্থ ৮৭ বলে ৯৫ রান করলেন। শিবশঙ্কর রায় করলেন ৬৩ বলে ৭৮ রান। ভাল রান পেলেন ঋষভ দাসও (৫৩)। মহারাষ্ট্রের সফলতম বোলার রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারগেকর ৬৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন।
অন্য ম্যাচে, কর্ণাটককে সহজেই হারিয়ে দেয় সৌরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করে কর্ণাটক। রবিকুমার সমর্ত ৮৮ রান করেন। বাকি আর কেউই সে ভাবে রান করতে পারেননি। সৌরাষ্ট্রের হয়ে জয়দেব উনাদকট একাই চার উইকেট নেন। দু’টি উইকেট নেন প্রেরক মকঁড়। একটি করে উইকেট নেন কুসঙ্গ পটেল এবং পার্থ ভুট।
সৌরাষ্ট্রের হয়ে সেই রান তাড়া করতে নেমে হারভিক দেশাই এবং শেল্ডন জ্যাকসন কোনও রান পাননি। জয় গহিল ৬১ রান করেন। সমর্ত ব্যস করেন ৩৩ রান। ৩৬.২ ওভারেই জয়ের রান তুলে নেয় সৌরাষ্ট্র। বিজয় হজারের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে তারা।