উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেই ঋষভ পন্থের গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তাই সঙ্গে থাকা বেশির ভাগ সামগ্রী সেই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। — ফাইল চিত্র।
গাড়ি দুর্ঘটনার পরে ঋষভ পন্থের গাড়িতে থাকা ব্যাগ, টাকা-পয়সা লুঠ হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেই খবর মিথ্যা বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। তা হলে কোথায় গেল ঋষভের গাড়িতে থাকা তাঁর সামগ্রী?
উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘ঋষভের গাড়িতে থাকা সামগ্রী লুঠ হওয়ার খবর সম্পূর্ণ গুজব। যে বা যাঁরা এই খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁরা বন্ধ করুন। নইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেই পন্থের গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তাই তাঁর সঙ্গে থাকা বেশির ভাগ সামগ্রী সেই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। শুধু তিনি যে সোনার চেন ও ব্রেসলেট পরেছিলেন সেটা উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁর জামায় থাকা চার হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে আরও কিছু জামাকাপড় পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি পন্থের মাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, স্থানীয়দের একাংশ অসহায়তার সুযোগ নিয়ে উদ্ধারের নামে উইকেটরক্ষকের গাড়িতে লুট চালিয়েছেন। একটি ব্যাগে বেশ কিছু নগদ টাকা ছিল পন্থের। সূত্রের খবর, গাড়ির মধ্যে ৩-৪ লাখ নগদ টাকা ছিল। দুর্ঘটনার পর গাড়ির মধ্যে থেকে সেই টাকাগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলি প্রায় সবই নিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। সেই টাকার ব্যাগের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে যাচ্ছিলেন পন্থ। সে সবের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পর পন্থকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সক্ষম সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক সুশীল নাগর বলেছেন, ‘‘পন্থকে যখন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন ওর সম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তপাত হচ্ছিল।’’
একাংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও স্থানীয়দের কয়েক জন অবশ্য পন্থকে সাহায্য করেন। তাঁকে মাটি থেকে তুলে তাঁর গায়ে চাদর জড়িয়ে দেন। সেই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়া হরিয়ানা সরকারের একটি বাসের চালক এবং অন্য কর্মীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন আহত ক্রিকেটারের দিকে।