আইসিসি সদর দফতর। —ফাইল চিত্র।
পূর্ণ সদস্য নয় এমন একটি দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ক্রিকেট লিগকে স্বীকৃতি দিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই প্রথম কোনও অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ স্বীকৃতি পেল। এ বার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আইএল টি-টোয়েন্টি লিগের ম্যাচগুলি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচের মর্যাদা পাবে। ২০ ওভারের ক্রিকেটের স্বার্থেই আইসিসির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এত দিন পর্যন্ত শুধু মাত্র টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের ম্যাচগুলিকে স্বীকৃতি দিত আইসিসি। অর্থাৎ, সরকারি ভাবে গণ্য করা হত। বাকি দেশগুলির টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের ম্যাচগুলির এই মর্যাদা ছিল না। আইসিসির অ্যাসোসিয়েট সদস্য হিসাবে প্রথম এই স্বীকৃতি অর্জন করল আমিরশাহি।
আইএল টি-টোয়েন্টি লিগের সাফল্যই আইসিসিকে অবস্থান বদলে বাধ্য করেছে। আমিরশাহির লিগে অর্থের অভাব নেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালসের মতো আইপিএলের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজ়িও যুক্ত এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে। প্রতিযোগিতার আর্থিক সঙ্গতি ভাল হওয়ায় বিশ্বের প্রথম সারির বহু ক্রিকেটার আমিরশাহির লিগে খেলেন। ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শাহিন আফ্রিদি, ট্রেন্ট বোল্ট, শিমরন হেটমেয়ারের মতো ক্রিকেটারেরা এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত। এক বছরেই বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে প্রতিযোগিতাটি। তাই আর আইএল টি-টোয়েন্টি লিগকে উপেক্ষা করতে পারলেন না আইসিসি কর্তারা।
আইএল টি-টোয়েন্টি লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ ডেভিড হোয়াইট বলেছেন, ‘‘লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের প্রতিযোগিতার জন্য একটা বড় মাইলফলক। প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন করার জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ।’’
দ্বিতীয় বছরের আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হবে আগামী ১৯ জানুয়ারি। প্রতিযোগিতা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৪ সাল থেকেই আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ আইপিএল, বিবিএল বা পিএসএলের মতো প্রতিযোগিতাগুলির সমকক্ষ হয়ে উঠবে।