আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন আইপিএলের অন্তত তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কর্তৃপক্ষ। পূর্ণাঙ্গ নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি ছেড়ে দিতে পারে তাদের অধিনায়ককে। নতুন করে দল তৈরির চেষ্টা করবেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষেরা।
২০২৫ সালের আইপিএলের আগে হবে পূর্ণাঙ্গ নিলাম। নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। বাকিদের ছেড়ে দিতে হবে নিলামের জন্য। সূত্রের খবর, অন্তত তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি তাদের অধিনায়ককেই রাখতে চায় না। দলকে সাফল্যের রাস্তায় আনতে নেতৃত্বে বদল চাইছেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষেরা।
লোকেশ রাহুল
গত বছর থেকেই লখনউ সুপার জায়ান্টস কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে রাহুলের। দলের ব্যর্থতার জন্য রাহুলকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেছিলেন গোয়েন্কা। সেই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দলের অধিনায়কের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টাও করেন তিনি। সৌজন্য বজায় রেখে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি রাহুলও। কিন্তু আদতে সমস্যা মেটেনি তাঁদের মধ্যে। বরং দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাহুল আর লখনউয়ের হয়ে খেলতে চান না। গোয়েন্কার ফ্র্যাঞ্চাইজ়িও তাঁকে রাখতে চায় না। সূত্রের খবর, নিলামের আগেই রাহুলকে রিলিজ় করে দেবেন লখনউ কর্তৃপক্ষ। উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের সঙ্গে ১৭ কোটি টাকার চুক্তি ছিল লখনউয়ের
ফ্যাফ ডুপ্লেসি
নিলামে চেন্নাই সুপার কিংসের হাত থেকে এক রকম ডুপ্লেসিকে ছিনিয়ে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু আশা পূর্ণ হয়নি বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষের। ডুপ্লেসির নেতৃত্বেও আইপিএল জিততে পারেনি আরসিবি। তিন বছরে দলকে ফাইনালেও তুলতে পারেননি ডুপ্লেসি। ২০২২ সালের নিলামে ৭ কোটি টাকা দিয়ে কেনা অধিনায়ককে তাই আর রাখতে আগ্রহী নন বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। এ বার তাঁকে রিলিজ় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিখর ধাওয়ান
গত আইপিএলে প্রথম দিকের কয়েকটি ম্যাচ ছাড়া চোটের জন্য খেলতে পারেননি ধাওয়ান। অধিনায়ক হিসাবেও সাফল্য দিতে পারেননি পঞ্জাব কিংসকে। তাঁর নেতৃত্বে দল এক বারও আইপিএলের প্লেঅফে উঠতে পারেনি। স্বভাবতই ধাওয়ানকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির। তাঁকেও ধরে না রাখার সিদ্ধান্ত এক রকম নিয়ে ফেলেছেন পঞ্জাব কর্তৃপক্ষ। দলে সাফল্যের রাস্তায় ফেরাতে নতুন অধিনায়কের খোঁজে রয়েছেন তাঁরা। নিলামের আগে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটারকে।