পার্থের পিচে। —ফাইল চিত্র।
ভারতের জন্য অস্ট্রেলিয়া সবুজ পিচ নিয়ে অপেক্ষা করছে। পার্থের পিচে গতি এবং বাউন্স থাকবে। জানিয়ে দিলেন অপ্টাস স্টেডিয়ামের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক আইজ়াক ম্যাকডোনাল্ড। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত পার্থের পিচের চরিত্র যেমন হয়, তেমনই রাখা হচ্ছে। ফলে পেস বোলারেরা যে সাহায্য পাবেন তা বলাই যায়।
ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক পিচে খেলেছে ভারত। সেখান থেকে এসে পেস সহায়ক পিচে খেলতে নামবে তারা। কোনও প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে না। প্রথমে ঠিক ছিল ভারত এ দলের বিরুদ্ধে পার্থে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। কিন্তু পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। তার বদলে নিজেদের মধ্যে নেটে অনুশীলন করবে ভারত। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “আমরা এমন পিচ তৈরি করছি যেখানে প্রচণ্ড গতি থাকবে। সঙ্গে বাউন্সও থাকবে। বল ভাল ভাবে উইকেটরক্ষকের হাতে পৌঁছবে।”
পিচে ১০ মিলিমিটার লম্বা ঘাস থাকবে বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে পেসারেরা সাহায্য পাবেন। এমন পিচ প্যাট কামিন্স, জস হেজলউড এবং মিচেল স্টার্কের মতো পেসারদের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় দলে যশপ্রীত বুমরা রয়েছেন। সঙ্গে আকাশ দীপ এবং মহম্মদ সিরাজ খেলতে পারেন। তবে ভারতীয় দলের জন্য সুখবর, মহম্মদ সিরাজ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন। বোর্ড চাইলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে পারে। শামি দলে ফিরলে পার্থের পিচে ভারত যে শক্তিশালী হয়ে উঠবে তা বলাই যায়।
গত বছর পার্থে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের মাঝেই পিচে ফাটল ধরেছিল। যে কারণে অসমান বাউন্স পাচ্ছিলেন বোলারেরা। ব্যাটারদের কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন পার্থের পিচকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেছিলেন। এ বারেও তেমনই পিচ তৈরি করছেন ম্যাকডোনাল্ডেরা। তবে তাঁর মতে শুধু ভারত নয়, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও এই পিচে খেলা সহজ হবে না।