চর্চায়: ভরত ও ঋদ্ধি। বঙ্গ কিপার কি দলে থাকতে পারবেন? ফাইল চিত্র।
ঘাড়ে টান লাগায় কানপুরে মাঠেই নামতে পারলেন না ঋদ্ধিমান সাহা। নতুন নিয়মে উইকেটকিপারের চোট লাগলে পরিবর্ত ব্যবহার করা যায়। তাই ঋদ্ধির জায়গায় কিপিং করলেন আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে নজর কাড়া কে এস ভরত। ।
ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঋদ্ধির ঘাড় আড়ষ্ট হয়ে রয়েছে। সাধারণত, শুতে গিয়ে যে সমস্যা হয় অনেক ক্ষেত্রে। ঋষভ পন্থকে চলতি টেস্ট সিরিজ়ে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই হালফিলে প্রথম একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়া ঋদ্ধির সামনে ভাল সুযোগ ছিল নিজেকে ফের প্রমাণ করার। কিন্তু চোটের জন্য সেই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার মুখে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতেও রান পাননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে সুস্থ হয়ে ব্যাট করতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
পাশাপাশি, কানপুরের পিচে পরীক্ষার মধ্যে পড়ে ভাল কিপিং করার চেষ্টা করলেন কে এস ভরত। দু’টি ক্যাচ-সহ একটি স্টাম্পিং করেন তিনি। সুযোগ নষ্টও করেন। তবে তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি সতীর্থেরা। অক্ষর পটেলও বলেছেন, ‘‘ভরত খারাপ কিপিং করেনি। আশা করি, যত ম্যাচ পাবে, ততই উন্নতি করবে ও।’’ সব মিলিয়ে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো সুযোগ পেয়ে ঋদ্ধির উপর চাপ বাড়িয়ে রাখলেন ভরত। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ৩৭ বছরের ঋদ্ধির সেখানে স্থান হয় কি না, দেখার।
তৃতীয় দিনে আরও একটি ঘটনা উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় মাঠের মধ্যে। ৭৬তম ওভারে আম্পায়ার নীতিন মেননের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন আর অশ্বিন। যদিও তিনি উইকেটের বিপজ্জনক অঞ্চলে প্রবেশ করেননি অথবা আম্পায়ারের সামনেও দাঁড়িয়ে পড়েননি। অশ্বিন রাউন্ড দ্য উইকেট বল করার সময় নন-স্ট্রাইকারের পথ আটকে দিচ্ছিলেন। উইকেটের আড়াআড়ি দৌড়ে যাওয়ায় নন-স্ট্রাইকারের দৌড়তে সমস্যা হচ্ছিল। যা নিয়ে আপত্তি জানান আম্পায়ার মেনন। অশ্বিনও পাল্টা প্রশ্ন করেন তাঁকে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। তিনিই অশ্বিনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সেই সময় টিভিতে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুনীল গাওস্কর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ ব্যাপারে ক্রিকেটের নিয়মকানুনের। সানির সওয়াল, ‘‘বোলার যে ব্যাটসম্যানের পথ আটকে দিচ্ছে, এর জন্য পেনাল্টি কী হবে? বল হেলমেটে গিয়ে লাগলে পেনাল্টি রান দেওয়া হয়। বোলার পিচের বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়লে পেনাল্টি হতে পারে। এমনকি, বোলিং থেকে সরিয়েও দেওয়া হতে পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যানের পথ অবরোধ করার জন্য কী শাস্তি হবে? সেটাই তো কিছু বলা নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘বোলার কিন্তু কাজটা করেই চলেছে। নন-স্ট্রাইকারকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’’ সম্ভবত নিয়মকানুন নিয়ে নতুন তর্কই তুলে দিয়ে গেল কানপুর।