যশস্বী জয়সওয়াল। —ফাইল চিত্র।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড তোলে ৩৫৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিং। একা যশস্বী জয়সওয়াল লড়াই করেন। কিন্তু তিনিও দলকে বড় রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২১৯/৭। ভারত পিছিয়ে ১৩৪ রানে।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বেশ চাপে ভারত। হাতে মাত্র ৩ উইকেট। এখনও ১৩৪ রানে পিছিয়ে। ইংলনাদের ৩৫৩ রান টপকে লিড নেওয়া কঠিন হবে ভারতের পক্ষে। রবিবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাষ রয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতকে ম্যাচে ফেরাতে পারেন বোলারেরা। তবে ধ্রুব জুরেল এবং কুলদীপ যাদব মিলে ৪২ রানের জুটি গড়েছেন। তাঁরাই ক্রিজ়ে রয়েছেন। রবিবার শুরু করবেন তাঁরা। এই জুটিতে ইংল্যান্ডের রান টপকানোর চেষ্টা করবে ভারত। না হলে আরও বিপদ বাড়বে।
দ্বিতীয় সেশনে ৯৭ রান তুলেছিল ভারত। কিন্তু শুভমন গিল (৩৮), রজত পাটীদার (১৭) এবং রবীন্দ্র জাডেজার (১২) উইকেট হারায় ভারত। ভরসা ছিল যশস্বীর (৭৩) উপর। সঙ্গে ছিলেন সরফরাজ় খান (১৪)। কিন্তু সেই জুটিতে ৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। ইংল্যান্ডের শোয়েব বশির একাই ৪ উইকেট তুলে নেন। তাঁর বলেই বোল্ড হয়ে যান যশস্বী। তিনিই পাটীদার, জাডেজা এবং শুভমনের উইকেট তুলে নেন। রাঁচীতে স্পিনের ফাঁদে আটকে যায় ভারত।
শনিবারের সকালে ইংল্যান্ডের সব উইকেটই তুলে নেন জাডেজা। ম্যাচে তিনি নেন ৪ উইকেট। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মাঠে ১২২ রানে অপরাজিত রয়ে গেলেন জো রুট। শুক্রবার সকালটা ছিল আকাশ দীপের। তিন উইকেট তুলে অভিষেক ম্যাচেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন রুট। ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট নয়। ধীরস্থির ভাবে ইনিংস গড়েন রুট এবং বেন ফোকস। সেই ইনিংসই ইংল্যান্ডকে বড় রান তোলার ভরসা দেয়। রুট শতরানও করেন।
শুক্রবার শেষবেলায় রুটের সঙ্গে জুটি গড়েন অলি রবিনসন। এই টেস্টের আগে দলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। ৭ উইকেট হারানোর পরেও ইংল্যান্ডকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেন রবিনসনই। শনিবার সকালে দ্রুত রান করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। রবিনসন অর্ধশতরান করেন। এটাই টেস্টে তাঁর সব থেকে বেশি রানের ইনিংস। যা ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রান পার করে দেয়।