মার্কো জানসেনের বলে এ ভাবেই বোল্ড হয়ে যান শুভমন গিল। ছবি: রয়টার্স
দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা গেল প্রথম ইনিংসের রিপ্লে। পিচ ও আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা। চাপে পড়ে সেই একই ভাবে পর পর উইকেট দিয়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। ফলে তৃতীয় দিন চা বিরতির সময়ই হারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের মনে।
প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন যশস্বী জয়সওসাল। ধরতে পারেননি ডিন এলগার। তাতে অবশ্য বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। দু’ওভারে পরে কাগিসো রাবাডার বলে বোল্ড হন রোহিত শর্মা। শূন্য রানে ফেরেন তিনি। রাবাডার বলের লাইন ও লেংথ বুঝতেই পারেননি ভারত অধিনায়ক। যশস্বীও বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকেননি। নান্দ্রে বার্গারের বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের কাছে যায়। ৫ রান করেন যশস্বী। দুই ইনিংসেই আইপিএল সতীর্থের বলে আউট হলেন যশস্বী।
দুই ওপেনার ফেরার পর শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি। শুভমনকে ভাল দেখাচ্ছিল। বেশ কয়েকটি কভার ড্রাইভ মারেন তিনি। কিন্তু মার্কো জানসেন রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে আসার পরেই সমস্যায় পড়েন শুভমন। তাঁর ভিতরের দিকে ঢুকে আসা বলে বোল্ড হন শুভমন। তিনি করেন ২৬ রান।
বিরাট ও শ্রেয়স আয়ারের ক্যাচও এক বার করে পড়ে। না হলে আরও সমস্যায় পড়ত ভারত। শেষ পর্যন্ত চা বিরতিতে ভারতের রান ৩ উইকেটে ৬২। বিরাট ১৮ ও শ্রেয়স ৬ রানে ব্যাট করছেন। এখনও ১০১ রানে পিছিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
দ্বিতীয় দিন শতরানের পরে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই তৃতীয় দিন খেলা শুরু করেন এলগার। তাঁকে সঙ্গ দেন জানসেন। যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের প্রথম স্পেল তাঁরা সাবধানে খেলেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও শার্দূল ঠাকুর বল করতে আসার পর বড় শট মারতে শুরু করেন তাঁরা।
প্রসিদ্ধ ও শার্দূল নিয়ন্ত্রিত বল করতে পারছিলেন না। কোনও ভাবেই ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না তাঁরা। দ্রুত রান উঠছিল। এমনকি রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ধাক্কা দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তার মাঝেই এক-দু’টি সুযোগ তৈরি হলেও উইকেট আসেনি।
নিজের ১৫০ রান পূর্ণ করেন এলগার। অর্ধশতরান করেন জানসেনও। দেখে মনে হচ্ছিল এই সেশনেই ৪০০ পার করে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৮৫ রানের মাথায় শার্দূলের লেগ সাইডের বলে গ্লাভস ছুঁইয়ে আউট হন এলগার। তত ক্ষণে নিজের কাজ করে দিয়েছেন তিনি। বিদায়ী সিরিজ়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সর্বোচ্চ রান করলেন এলগার।
জেরাল্ড কোয়েৎজ়ি কয়েকটি বড় শট খেললেও অশ্বিনের বলে আউট হন। শেষ দু’টি উইকেট নিয়ে নেন বুমরা। ৪০৮ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। জানসেন ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন।