বিজয় হজারে ট্রফিতে তামিলনাড়ু-অরুণাচল প্রদেশ ম্যাচে হল চারটি বিশ্বরেকর্ড। প্রতীকী ছবি।
লিস্ট এ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ল তামিলনাড়ু। সোমবার বিজয় হজারে ট্রফির ম্যাচে অরুণাচল প্রদেশকে ৪৩৫ রানে হারালেন বাবা ইন্দ্রজিৎরা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তামিলনাড়ু করে ২ উইকেটে ৫০৬ রান। জবাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২৮.৪ ওভারে ৭১ রানে।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট ভেঙে দিল ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ডের নজির। ১৯৯০ সালে ৫০ ওভারের একটি ম্যাচে ডেভনকে ৩৪৬ রানে হারায় সমারসেট। এত দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল লিস্ট এ ক্রিকেটে জয়ের সর্বোচ্চ রানের ব্যবধান। সোমবার যা চলে গেল দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে উঠে এলে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর ৪৩৫ রানে জয়। তামিলনাড়ুর ৫০৬ রানের ইনিংসও পুরুষদের লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের দখলে। চলতি বছরের শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে ৪৯৮ রান করে ইংরেজরা। ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে পুদুচেরির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ৪ উইকেটে ৪৫৭ রান।
প্রথম উইকেটের জুটিতে নারায়ণ জগদীশন এবং বি সাই সুদর্শন তোলেন ৪১৬ রান। এটাও একটা রেকর্ড। বিশ্বের আর কোনও লিস্ট এ ম্যাচে প্রথম উইকেটে এত রান ওঠেনি আগে। আগের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দখলে। ক্রিস গেল এবং মার্লন স্যামুয়েলস ২০১৫ সালে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে প্রথম উইকেটের জুটিতে তোলেন ৩৭২ রান। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট এই রেকর্ড ছিল কেরলের সঞ্জু স্যামসন এবং সচিন বেবি জুটির দখলে। ২০১৯ সালে গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা প্রথম উইকেটের জুটিতে করেছিলেন ৩৩৮ রান।
এই ম্যাচেই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড করেছেন তামিলনাড়ুর উইকেট রক্ষক-ব্যাটার জগদীশন। ২৭৭ রান করলেন তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বের যাবতীয় ৫০ ওভারের ম্যাচে এত রান কেউ কখনও করেননি। এত দিন বিশ্বরেকর্ড ছিল ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার মহিলাদের এক দিনের প্রতিযোগিতায় শ্রীপলি বীরাক্কোডির করা ২৭১ রান। এই তালিকায় রয়েছেন রোহিতও। ভারতীয়দের মধ্যে এত দিন পর্যন্ত সব থেকে বেশি রানের নজির ছিল রোহিতের। ২০১৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৭৩ বলে ২৬৪ রান করেছিলেন তিনি। সেটাও ভেঙেছেন জগদীশন।
এ ছাড়াও বিজয় হজারে ট্রফিতে পর পর পাঁচটি ম্যাচে শতরান করলেন জগদীশন। তিনি ছাড়া লিস্ট এ ক্রিকেটে এই নজির কারও নেই। পর পর চারটি শতরান করেছেন তিন জন ব্যাটার। তাঁরা হলেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারা, দক্ষিণ আফ্রিকার আলভিরো পিটারসন ও ভারতের দেবদূত পাড়িক্কল।