এই ট্রফির জন্যই লড়াই করছে ১২টি দল। —ফাইল চিত্র
এক জনের অভিযোগ, এক ওভারও বল হওয়া উচিত ছিল না। অন্য জন পাল্টা বলছেন, ওরা ওই পরিস্থিতিতে থাকলে নিশ্চয় খেলা চালিয়ে যেত। বিশ্বকাপের শুরুতেই ঝগড়া লেগে গিয়েছে দুই কোচের। তাঁদের দু’জনের নিশানাতেই আম্পায়াররা। এক জন জিম্বাবোয়ের কোচ ডেভ হাউটন। অন্য জন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার।
সোমবার জিম্বাবোয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। দু’দলই ১ পয়েন্ট করে পেয়েছেন। জয়ের খুব কাছে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বভাবতই হতাশ তারা। তাদের কোচ ক্ষুব্ধ। কিন্তু পাল্টা ক্ষুব্ধ জিম্বাবোয়ের কোচও।
হাউটনের মতে, যতটা খেলা হয়েছে, ততটাও হওয়া উচিত ছিল না। ম্যাচ শেষে জিম্বাবোয়ের কোচ বলেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি বিশ্বকাপে ম্যাচ ভেস্তে গেলে কারও ভাল লাগে না। কিম্তু আবহাওয়ার দিকেও তো নজর রাখতে হবে। আমরা বল করতে নামার আগে থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। এক ওভারও খেলা হওয়া উচিত ছিল না।’’
তাঁর ক্ষোভ আম্পায়ারের উপর। হাউটন বলেছেন, ‘‘খেলা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত আম্পায়ারদের। আমি আপত্তি করেছিলাম। কিন্তু আমি তো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। একটা সময় তো বাজ পড়তে শুরু করে। তার পরে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করেন। ওই পরিবেশে ক্রিকেটাররা চোট পেতে পারত। তাতে আমাদেরই ক্ষতি হত।’’
হাউটনের কথার ঠিক উল্টো কথা বলেছেন বাউচার। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে এ ভাবে একটা ম্যাচ শেষ করে দেওয়া উচিত নয়। জানি, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তার পরেও আমি বলতে চাই, কোথায় ম্যাচটা বন্ধ হচ্ছে সেটা আম্পায়ারদের ভাবা উচিত ছিল। আমাদের পরিস্থিতিতে যদি জিম্বাবোয়ে থাকত, তা হলে কি ওরা খেলা বন্ধ করতে চাইত? ওরাও নিশ্চয় খেলতে চাইত।’’
বৃষ্টির কারণে হোবার্টে ২০ ওভারের খেলা কমিয়ে ৯ ওভার করা হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে ৭৯ রান করে জিম্বাবোয়ে। তার পরে আবার বৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতার জন্য ৭ ওভারে ৬৪ রান করতে হত। ৩ ওভারে ৫১ রান করে তারা। জেতার জন্য ২৪ বলে ১৩ রান দরকার ছিল। সেই সময় পরিবেশ নিয়ে আপত্তি জানায় জিম্বাবোয়ে। সেই আপত্তি মেনে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। সেটাতেই চটেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।