দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান না পেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্বমহিমায় বিরাট কোহলি। তাঁর প্রশংসায় রোহিত। ফাইল ছবি
ম্যাচের মাঝে কয়েক পশলা বৃষ্টি। ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে ওই একটা বাধাই দু’দলের পার্থক্য গড়ে দিল। কিন্তু অ্যাডিলেডে নাটক, উত্তেজনার কোনও কমতি হল না। শেষ বল পর্যন্ত গড়াল খেলা। দিনের শেষে রোহিত শর্মার মুখেই হাসি। বৃষ্টিতে ওভার কমে যাওয়ায় প্রত্যেকের কাছে চার ওভার করার সুযোগ ছিল না। ফলে এক সময় পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে, মহম্মদ শামি বা আরশদীপ সিংহ, যে কোনও একজন শেষ ওভার করতে পারবেন। অতীতে আরশদীপ ১৯তম ওভার করতে গিয়ে ডুবিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি দলকে জিতিয়েই এলেন। তার আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন বিরাট কোহলি।
ম্যাচের পর রোহিতের মুখে আবার কোহলির প্রশংসা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান না পেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্বমহিমায় বিরাট কোহলি। অর্ধশতরান করে দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছতে তিনি সাহায্য করেন। বিরাটের ছন্দ নিয়ে রোহিতকে প্রশ্ন করাতেই হেসে ফেলেন ভারত অধিনায়ক। বলেন, “আমার চোখে কোহলি কোনও দিনই ছন্দ হারায়নি। স্রেফ কয়েকটা ইনিংসের ব্যাপার। এশিয়া কাপে ভাল খেলার পর ও ছন্দ পেয়ে গিয়েছে। বড় ম্যাচ, বড় প্রতিযোগিতায় খেলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর। ওকে নিয়ে কোনও সন্দেহই ছিল না। রাহুলকে নিয়েও বেশ খুশি। ওর এবং দলের কাছে রানে ফেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও আমাদের দলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা জানি।”
কেন শামির বলে আরশদীপকে শেষ ওভার করতে দেওয়া হল, সে প্রসঙ্গে ম্যাচের পর রোহিত বললেন, “আরশদীপ দলে আসার পর থেকে ওকে দিয়ে ডেথ ওভার করাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুমরা না থাকায় কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হত। আমরা আরশদীপকেই বেছেছি। ওর মতো তরুণ এক জন বোলারের পক্ষে এ ধরনের চাপের পরিস্থিতি সামলানো সহজ ব্যাপার নয়। তবে সব রকম পরিস্থিতির কথা ভেবে ওকে তৈরি করা হয়েছে। গত ৮-৯ মাস ধরেই সেটা করছে।”
শেষের দিকে যে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, এটা অস্বীকার করেননি রোহিত। বললেন, “আমি শান্ত ছিলাম। একই সঙ্গে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। আসলে ছোট ফরম্যাটে খেলা যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হওয়ার পর আমরা নিজেদের আবেগ ধরে রাখতে পেরেছিলাম। সে কারণেই জিততে পেরেছি।”
আগের ম্যাচে ফিল্ডিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এই ম্যাচের ফিল্ডিংয়ে তিনি খুশি। বলেছেন, “কিছু এমন ক্যাচ আজ আমরা নিয়েছি যেগুলো খুব ভাল হয়েছে। এত লোকের সামনে খেলার সময় চাপ সামলে এমন ক্যাচ ধরা সহজ কাজ নয়। এতেই বোঝা যায় আমাদের দলের ক্রিকেটাররা কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের ফিল্ডিং দক্ষতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।”