প্রস্তুতি: অ্যাডিলেডে সেমিফাইনালের আগে প্রস্তুতিতে মগ্ন বিরাট কোহলি। বুধবার। ছবি: পিটিআই।
ভারত গ্রুপ পর্ব দাপটের সঙ্গে শেষ করেছে। একটাই ম্যাচ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। তা-ও এমন একটা পিচে যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা অনেকটাই সুবিধে পেয়েছিল। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দলের শুরুটা ভাল হয়নি, অল্প রানেই থেমে যেতে হয়েছিল। এর পরেও ভারতীয় বোলাররা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের শেষ ওভার পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পর থেকে ভারতীয় দল দারুণ খেলে আসছে এবং জিতছে। ইংল্যান্ড দলেও মার্ক উডের মতো দ্রুতগতির বোলার রয়েছে। তবে ও কিন্তু অতটা ধারাবাহিক নয়। যেটা ওর বিরুদ্ধে ব্যাটারদের রান করার সুযোগ দেয়। এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মনে হয়েছে স্যাম কারেনকে। ব্যাট হাতেও কার্যকর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে। যা ভারতীয় দলের চেয়েও ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিংকে বেশি গভীরতা দিচ্ছে। এই কারণেই হয়তো ওরা বড় রান তাড়া করতে পারছে।
ভারতের শক্তি রান তাড়া করায়। যে দিক থেকে দেখলে পরে ব্যাট করাই শ্রেয় মনে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করতেও পছন্দ করে। যেখানে রান তাড়া করার চাপ না নিয়ে ব্যাটাররা খোলা মনে খেলতে পারে। অ্যাডিলেডের তুলনামূলক ভাবে ছোট স্কোয়ার বাউন্ডারি ও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতার কথা মাথায় রাখলে কোনও রানই নিরাপদ নয়। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কয়েক জন বাঁ-হাতি আছে। আর বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে বল করাটা অশ্বিনের শক্তি। হর্ষল পটেলও এই ম্যাচে সুযোগ পেতে পারে। কারণ ভারত হয়তো চার পেসার এক স্পিনারে নামবে সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্যের ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং রয়েছে।
ভারতের চিন্তা এখনও রোহিতের ধারাবাহিকতার অভাব। তবে কে এল রাহুলের ছন্দে ফেরাটা নিশ্চিত ভাবে স্বস্তিতে রাখবে দলকে। তাতে বিরাট কোহলি কিছুটা চাপমুক্ত থেকে সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার পাশপাশি আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারবে। এখনও পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার সেরা ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব। অসাধারণ কিছু শট খেলে ভারতের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওর ব্যাটিং এককথায় অনবদ্য ছিল। কী শাসনটাই না দেখিয়েছে ব্যাটিংয়ে। ভারতের জয়ের পথে ওর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ঋষভ পন্থও নিশ্চয়ই ছোট স্কোয়ার বাউন্ডারির সুযোগ নিতে মুখিয়ে থাকবে। এই দু’জন যদি টিকে থাকে, তা হলে ভারতকে ফাইনালে তুলে দিতে পারে। (টিসিএম)