নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে রান নেওয়ার আগে ফিলিপ্সের এই ভঙ্গিমাকে বোল্টের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ছবি: টুইটার।
নিউজ়িল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপ্সকে তুলনা করা হচ্ছে উসেইন বোল্টের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচে উইকেটের নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকলে দৌড় শুরু করার ভঙ্গিতে থাকছিলেন ফিলিপ্স। অ্যাথলিটরা ১০০ মিটার বা ২০০ মিটার দৌড় শুরুর আগে স্টার্টিং পয়েন্টে যে ভাবে দাঁড়ান, অনেকটা সে ভাবে। কেন এ ভাবে দাঁড়াচ্ছিলেন? নিজেই জানিয়েছেন ফিলিপ্স।
নিউজ়িল্যান্ড ব্যাটার বলেছেন, ‘‘এ ভাবে দাঁড়ালে বোলারকে ভাল ভাবে দেখা যায়। রান নেওয়ার জন্য দৌড়ও শুরু করা যায় তুলনায় দ্রুত। স্প্রিন্টারদের মতো দৌড় শুরু করলে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। অথচ পা থাকে ক্রিজের ভিতরে।’’
বোলার বল ছাড়ার আগে ব্যাটার ক্রিজের বাইরে চলে গেলে মাঁকড়ীয় আউটে বিতর্কের কিছু দেখছেন না ফিলিপ্স। তিনি বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি মাঁকড়ীয় আউট ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বল ছাড়ার আগে ব্যাটার বেরিয়ে গেলে বোলারের বেল তুলে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই আমি এ ভাবেই রান নিতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করাই লক্ষ্য ছিল আমার। নিজের ভাবনা থেকেই এটা করেছিলাম।’’ ফিলিপ্স মেনে নিয়েছেন প্রথম বার ঠিক মতো নিজেকে প্রয়োগ করতে পারেননি। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘খেলার সময়ই এই ভাবনাটা মাথায় এসে ছিল। প্রথম তিন বার ঠিক ভাবে দৌড় শুরু করতে পারিনি। পরে মনে হল দৌড় শুরু করার জন্য অন্য পা এবং হাত ব্যবহার করলে বেশি সুবিধা হবে।’’
মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে আউট করলে এখন সেটাকে রান আউট বলেই ধরা হয়। ফিলিপ্স সেই বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি যখনই নন স্ট্রাইকারের দিকে এসেছেন, তখনই দৌড়বিদদের মতো বসে তৈরি হয়ে থেকেছেন দৌড়ানোর জন্য। তাঁর ওই ভাবে দাঁড়ানো দেখে ধারাভাষ্যকাররা বলেন, “উসেইন বোল্টের মতো দাঁড়াচ্ছেন গ্লেন ফিলিপ্স। কিন্তু মিল ওইটুকুই।”
বোল্টের মতো গতিতে দৌড়াতে না পারলেও দলের রানের গতি ছিল ফিলিপ্সের হাতেই। দাসুন শনাকার দলের বিরুদ্ধে ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন কিউই ব্যাটার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার এবং চারটি ছক্কা দিয়ে। ফিলিপ্সের শতরানের দাপটেই ১৬৭ রান করে নিউজ়িল্যান্ড। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন তিনিই।