T20 World Cup 2022

পাঁচ বিষয়: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে গেলে যা করতেই হবে রোহিত, বিরাটদের

প্রথম দু’টি ম্যাচে জেতার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ভারত। সেমিফাইনালে ওঠা এবং ট্রফি জেতা, এই দুই কাজ করতে গেলে ভারতকে বেশ কিছু সমস্যা মেটাতে হবে। সেগুলি কী কী?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫৪
Share:

সেমিফাইনালে ওঠা এবং ট্রফি জেতা, এই দুই কাজ করতে গেলেই ভারতকে বেশ কিছু সমস্যা মেটাতে হবে। ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের জয়রথ। বুধবার তারা মুখোমুখি বাংলাদেশের। এর পর বাকি থাকছে জ়িম্বাবোয়ে ম্যাচ। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে ভারত কি সেমিফাইনালে উঠতে পারবে? ২০০৭-এর পর ট্রফি কি জিতবে তারা? অনেক যদি-কিন্তু রয়েছে এই দুই প্রশ্ন ঘিরে। তবে সেমিফাইনালে ওঠা এবং ট্রফি জেতা, এই দুই কাজ করতে গেলেই ভারতকে বেশ কিছু সমস্যা মেটাতে হবে। সেগুলি কী কী?

Advertisement

কেএল রাহুল সমস্যার সমাধান: বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সমাধানসূত্র এখনও বেরোয়নি। যা অবস্থা, তাতে বাংলাদেশ ম্যাচেও রাহুলকে খেলানো হতে পারে। ওপেনিংয়ে একজন ব্যাটার ক্রমাগত ব্যর্থ হলে তার প্রভাব দলের উপরে পড়েই। শুরুটা ভাল হলে পরের দিকের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস পান। সেটা ভারত গত তিন ম্যাচে পায়নি। এখন দেখার, বাকি দু’টি ম্যাচে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয় কিনা।

ডট বল কমানো: গত বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৪টি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৬টি ডট বল খেলেছিল ভারত। অর্থাৎ ৪২ শতাংশ বলে তারা রানই করতে পারেনি। সেটার এখনও বিশেষ বদল হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ বারও ৪৬টি ডট বল খেলেছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তা বেড়ে হয়েছে ৫৭টি। অর্থাৎ ডট বল খেলার পরিমাণ ৫৭ শতাংশ। দু’টি ম্যাচেই প্রথম দিকে ভারত উইকেট হারিয়েছে। ফলে ধরে খেলার তাগিদে ডট বল খেলতে হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে খুচরো রান খুবই কাজে লাগে। কিন্তু ডট বল খেললে স্ট্রাইক বদল হয় না। পার্‌থের পিচে ওপেনাররা খাতা খুলতে ১০ বল লাগিয়েছিলেন। এই সমস্যা মেটাতে হবে ভারতকে।

Advertisement

ক্যাচিং এবং স্টাম্পিংয়ে উন্নতি: বাউন্ডারির ধারে ভারতের ক্যাচিং এবং দীনেশ কার্তিকের উইকেটকিপিং ভারতকে ভাল জায়গায় রাখেনি। আগের ম্যাচে খোদ বিরাট কোহলি ক্যাচ মিস্ করেন। পাকিস্তান ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ক্যাচ ফেলায় প্রাণ ফিরে পান শান মাসুদ, যিনি পরে অর্ধশতরান করেন। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরশদীপ সিংহ ক্যাচ ফেলে সমালোচিত হয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দু’টি সহজ স্টাম্প করতে পারেননি কার্তিক। এগুলি ঠিক করতে হবে।

ফিল্ডিংয়ে উন্নতি এবং রান আউট: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চোখের সামনে তিনটি স্টাম্প থাকা সত্ত্বেও ১৫ গজ দূর থেকে বল ছুড়ে লাগাতে পারেননি রোহিত শর্মা। এশিয়া কাপে ঋষভ পন্থ এবং আরশদীপকেও একই কাজ করতে দেখা যায়। পাকিস্তান ম্যাচে কোহলি একই ভাবে মাসুদকে রান আউট করতে ব্যর্থ হন। ভুবনেশ্বর কুমার এবং কার্তিক স্টাম্পে বল লাগাতে পারেননি। উল্টে দু’টি অতিরিক্ত রান দেন। ফলে ভারত চাপে পড়ে যায়। জ়‌িম্বাবোয়ে ম্যাচে শাকিব আল হাসানের একটা রান আউট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ভারতকে সেটা মাথায় রাখতে হবে যে একটা রান আউট খেলা বদলে দিতে পারে। সুযোগ বার বার আসবে না।

দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা: গত কয়েক বছর ধরেই দল নির্বাচন ভারতকে সমস্যায় ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে কেন দীপক হুডাকে দলে নেওয়া হল কেউই জানেন না। তাঁকে দিয়ে বল করানো হয়নি। ব্যাট হাতে শূন্য করেছেন। ফিল্ডিংও আহামরি নয়। দলে বদল আনতে গেলে কেন একজন ষষ্ঠ বোলারের বিকল্প রাখা হবে না? প্রশ্নটা উঠছেই। আচমকা একটা ‘সেট’ হয়ে যাওয়া দল বদলে দেওয়া ভারতের কাছে নতুন কিছু নয়। এটা বদলাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement