মুখোমুখি রোহিত-বাবর। —ফাইল চিত্র
গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থেকে এ বার ছবিটা খানিক বদলেছে। গত বার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। এ বার রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের অধিনায়কত্বে অবশ্য বদল হয়নি। ঠিক তেমনই বদল হয়নি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপে। খেলার অনেক আগে থেকেই ফুটছে মেলবোর্ন। এক দিকে যখন ভারতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজ়ম, অন্য দিকে তখন রোহিতের মাথায় বদলার অঙ্ক।
ম্যাচের আগে বাবর জানিয়েছেন, ভারতের প্রত্যেক ব্যাটারের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা তৈরি তাঁদের। মাঠে সেটা কাজে করে দেখাতে হবে। গত বার শাহিন শাহ আফ্রিদি একাই ভারতীয় দলের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন। এ বারও শুরুতে সেই শাহিনকেই লেলিয়ে দেবেন পাক অধিনায়ক। সঙ্গে হ্যারিস রইফ, নাসিম শাহরাও ছন্দে রয়েছেন। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ ভারতকে যথেষ্ট বেগ দিতে পারে।
অন্য দিকে রোহিতের মনে দগদগে গত বারের হারের ঘা। তিনি বলেছেন,‘‘পাকিস্তান ম্যাচ আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।’’ তবে এ বার অনেক বেশি তৈরি থাকতে পারছেন তাঁরা। কারণ, গত বার পাকিস্তান দল তাঁদের কাছে ছিল নতুন। এ বার সেটা নয়। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’বার খেলেছেন রোহিতরা। বাবরদের দলের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে একটা ভাল ধারণা রোহিতদের রয়েছে।
পাকিস্তানকে হারাতে গেলে রোহিতদের প্রথমে নিজেদের দলের ব্যাটিং সামলাতে হবে। কারণ, পাকিস্তানের শক্তি বোলিং। তাই ব্যাট করার সময় রোহিতদের জুটি বাঁধার দিকে মন দিতে হবে। তার জন্য প্রথম চার ব্যাটারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ বার ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তুরুপের তাস সূর্যকুমার যাদব। ভাল ছন্দে রয়েছেন তিনি। কোহলিরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড ভাল। তাই প্রথমে ব্যাট করলে বড় রান করতে হবে ভারতকে। তা হলে অনেকটা এগিয়ে থাকবে তারা।
অন্য দিকে পাকিস্তানের বোলিং যতটা শক্তিশালী, ব্যাটিং ততটা নয়। বাবর ও রিজ়ওয়ানের উপর দলের ব্যাটিং অনেকটা নির্ভর করে। গত বিশ্বকাপে এই দুই ব্যাটার ভারতকে হারিয়ে ছিল। তাই এ বার পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিকে যত তাড়াতাড়ি ভারত সাজঘরে পাঠাতে পারবে তত ভাল তাদের জন্য।
গত বার ভারতীয় দলে থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল করতে পারেননি হার্দিক পাণ্ড্য। ভাল ব্যাটও করতে পারেননি। এ বার সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি। হার্দিক এই ম্যাচে বড় ভূমিকা নিতে পারেন। ফিনিশারের ভূমিকা নিতে হবে দীনেশ কার্তিককে। ভারতকে ম্যাচ জিততে হলে হার্দিক-কার্তিক জুটিকে ভাল খেলতে হবে।