সংশয়: পায়ে চোট লাগায় অনিশ্চিত জেসন। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বলে ২০ রান করে পায়ে চোট পান জেসন রয়। দৌড়তে গিয়ে পেশিতে টান ধরে ইংল্যান্ড ওপেনারের। সেমিফাইনালে জেসনকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
চোটের জন্য প্রতিযোগিতা চলাকালীন ছিটকে গিয়েছেন টাইমল মিলস। এ বার জেসন রয়ের চোটও যদি গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে আগামী পর্বের যাত্রায় বড় ধাক্কা দিতে পারে মর্গ্যানদের শিবিরে। প্রথম গ্রুপ থেকে শেষ চারে উঠে গিয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ চারের ম্যাচের আগে জেসনকে কি আদৌ পাওয়া যাবে? মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘ওর চোট কতটা গুরুতর, তা পরীক্ষা করা হবে। রান তাড়া করার সময় ওপেনার চোট পেলে ম্যাচে তার
প্রভাব পড়বেই।’’
প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেন জানিয়েছেন, রয় যদি একান্তই খেলতে না পারেন তা হলেও সমস্যায় পড়বে না ইংল্যান্ড। তাঁর কথায়, ‘‘ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা প্রচুর। মার্ক উডও ব্যাট করতে পারে। আদিল রশিদেরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান রয়েছে। রয়ের মতো ওপেনারের চোট গুরুতর হলে দল হিসেবে ইংল্যান্ড কিছুটা উদ্বেগে থাকবে। তবে আমি মনে করি, এটা বড় কোনও ধাক্কা নয়।’’
সতীর্থদের চোটের পরেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। তাই এখন আর কেউ চোট পেলে আগের মতো চিন্তা হয় না তাঁর। মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘চোটের জন্য বিশ্বকাপে পাইনি জফ্রা আর্চার ও স্যাম কারেনকে। ব্যক্তিগত কারণে দলে নেই বেন স্টোকস। তবুও আমরা শেষ চারে পৌঁছে গিয়েছি। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা ভাল কয়েক জনকে পেয়েছি। তারাই একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছে।’’
মর্গ্যান মনে করেন, এত দিনের মধ্যে শারজায় সব চেয়ে ভাল পিচে খেলেছেন তাঁরা। ব্যাটে দ্রুত আসছিল বল। আগের মতো মন্থরও ছিল না পিচ। মর্গ্যানের মনে হয়েছে, ‘‘ভাল পিচ পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকেই আমাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। ওদের কাছে এটা মরণ-বাঁচন ম্যাচ ছিল। যতটা সম্ভব নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’’ প্রত্যাশা অনুযায়ী কি তাঁর বোলাররা ছন্দে ছিলেন? মর্গ্যানের উত্তর, ‘‘আমার তো মনে হয়, যতটা ভেবেছিলাম, তত রান হয়নি। ছোট মাঠ, উইকেটও খারাপ ছিল না। তাতে ১৮৯ রান করা মানে বিরাট কিছু নয়। তাই আমরাও তাড়া করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’’
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই সব চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। অধিনায়ক বললেন, ‘‘মিলস চোট পাওয়ার পরেও আমরা যে ওদের কম রানে আটকে রাখতে পেরেছিলাম, সেটাই বড় প্রাপ্তি। এখানেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে আমাদের
চারিত্রিক কাঠিন্য।’’