(বাঁ দিকে) রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির নাম ঘোষণার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের সমালোচনা করেছিলেন সুনীল গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের মনে হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। সিরিজ় শেষে সেই একই প্রশ্ন তুলেছেন গাওস্কর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট মিলিয়ে ২৪০ রান করেছেন রোহিত। তার মধ্যে একটি শতরান ও দু’টি অর্ধশতরান। বিরাট করেছেন ১৯৭ রান। দু’টি ইনিংসের মধ্যে একটিতে শতরান ও একটিতে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। রানের তালিকায় যশস্বী জয়সওয়ালের (২৬৬) পরেই রয়েছেন এই দুই ব্যাটার।
গাওস্করের কথায়, রোহিত ও বিরাটের ব্যাটিং দেখে বোঝা গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারদের কত সহজে খেলেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের না নিয়ে নতুনদের সুযোগ দিলে ভাল করতেন নির্বাচকেরা। গাওস্কর বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে রোহিত, বিরাটের তো নতুন করে কিছু করার ছিল না। তাই ওদের বদলে বরং নতুনদের পরীক্ষা করে নেওয়া যেত। যশস্বী বা ঈশান যা করে দেখাল, সেটা আরও অনেকে করতে পারত। তা হলে সিনিয়র ক্রিকেটারেরাও দলে জায়গা ধরে রাখা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ত। কিন্তু নির্বাচকেরা কিছুতেই সিনিয়র ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চায় না।’’
বিসিসিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচক হয়েছেন অজিত আগরকর। তার আগেই অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরের দল ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। টেস্ট সিরিজ় চলাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে গিয়েছেন আগরকর। তাঁর কাছে বদলের আশা করছেন গাওস্কর। তিনি বলেন, ‘‘আগরকর নতুন নির্বাচক প্রধান হয়েছে। আশা করি ও কিছুটা বদল আনতে পারবে। যদি না পারে তা হলে বছরের পর বছর ধরে সেই একই গল্প দেখা যাবে।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩৮ রান করে ভারত। নিজের ৫০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে শতরান করেন বিরাট কোহলি। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২২৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৮১ রান করে ডিক্লেয়ার করে। অর্ধশতরান করেন রোহিত ও ঈশান কিশন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৬৫ রান। চতুর্থ দিনের শেষে ২ উইকেটে ৭৬ রান ছিল তাদের। পঞ্চম দিন বৃষ্টির জেরে এক বলও হয়নি। দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে খেলা ড্র ঘোষণা করে দেন আম্পায়ারেরা। প্রথম টেস্ট জেতায় ১-০ ব্যবধানে সিরিজ় জেতে ভারত। ২০২৩-২৫ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত এই সিরিজ়ে প্রথম ম্যাচ জিতে পুরো ১২ পয়েন্ট পেয়েছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হওয়ায় দু’দলই ৪ পয়েন্ট করে পেল। ফলে ভারতের পয়েন্ট হল ১৬। অন্য দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পয়েন্ট ৪।