Sunil Gavaskar

Sunil Gavaskar: দাঁতে ব্যথা নিয়ে ভিভের দেশে শাসন করেন সানি

শেষ ম্যাচের আগে গাওস্করের দাঁতের ফাঁকে বরফের কুচি ঢুকে যাওয়ায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ০৭:১৬
Share:

স্মরণীয়:ফাইল চিত্র

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক সফর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেই সময়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মানেই ভ্যানবার্ন হোল্ডার, গ্রেসন শিলিংফোর্ডের আক্রমণ। কিন্তু সেই আক্রমণ সামলেই ৭৭৪ রান করে চমকে দিয়েছিলেন সুনীল গাওস্কর। টেস্ট মানচিত্রে আবির্ভাব ঘটেছিল এক নতুন যোদ্ধার।

Advertisement

কিন্তু শেষ ম্যাচের আগে গাওস্করের দাঁতের ফাঁকে বরফের কুচি ঢুকে যাওয়ায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। কিন্তু দলের ম্যানেজার তাঁকে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেতে দেননি। তিনি চাননি ওষুধের প্রভাবের জন্য গাওস্করের নড়াচড়া মন্থর হয়ে যাক।

শেষ টেস্টের আগে পর্যন্ত ভারত ১-০ এগিয়ে ছিল সিরিজ়ে। সেই ম্যাচ ড্র করলেই সিরিজ় নিশ্চিত হয়ে যেত ভারতের। তাই দলের ম্যানেজার গাওস্করকে কোনও রকম ব্যথা অথবা ঘুমের ওষুধ খেতে দেননি ম্যাচের আগের রাতে। দাঁতে ব্যথা নিয়েই প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ ড্র করতে সাহায্য করেন গাওস্কর। সিরিজ়ও জেতে ভারত।

Advertisement

এক অনুষ্ঠানে সেই গল্প শুনিয়ে গাওস্কর বলেন, ‘‘পোর্ট অব স্পেনে সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ ছিল। তার আগের রাতে জল খেতে গিয়ে আমার দাঁতের ফাঁকে বরফের কুচি ঢুকে গিয়েছিল। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়ে গিয়েছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘আমি কোনও ভাবেই এই ম্যাচটি হাতছাড়া করতে চাইনি। একেইসিরিজ়ে ১-০ এগিয়েছিল দল। তার উপরে শেষ ম্যাচের আগে যদি এ রকম যন্ত্রণা শুরু হয়, তা হলে দল থেকে বাদও পড়তে পারি। ভেবেছিলাম ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে নামব। কিন্তু ম্যানেজার আমাকেকিছুতেই তা খেতে দেননি। বলেছিলেন, আমি চাই না তুমি ওষুধের জন্য ঝিমিয়ে পড়ো।’’

কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই গাওস্কর সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে মোট ৩৪৪ রান করেন। সেই প্রসঙ্গে সানি বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলার সময় এ রকমই হয়। কোথায় ব্যথা হচ্ছে, সমস্যা কোথায়, কিছুই মাথায় থাকে না। কারণ দেশের হয়ে খেলার স্বপ্নই তো দেখেছি। তার জন্য যে কোনও যন্ত্রণা উপেক্ষা করা যায়। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করি। দ্বিতীয় ইনিংসে করি ডাবল সেঞ্চুরি।’’

দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হওয়ার পরে গাওস্করকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। যা নিয়ে গাওস্কর বলেছেন, ‘‘পঞ্চম দিন ম্যানেজার আমাকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দাঁত তুলিয়ে দেন। আমি যখন ফিরেছি, তখন ভারত ভাল জায়গায় ছিল। আর সেই ম্যাচটিও ড্র হয়। সেই মুহূর্ত কোনও দিন ভোলা সম্ভব নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement