দানুষ্কা গুণতিলক। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়ে যৌননিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলক। বৃহস্পতিবার তিনি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হলেন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন গুণতিলক। সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল।
২৯ বছরের এক মহিলা গত বছর নভেম্বরে গুণতিলকের বিরুদ্ধে চারটি যৌননিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন। ৩২ বছরের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে সেই চারটি অভিযোগের তিনটি নাকচ হয়ে গিয়েছিল এই বছরের মে মাসে। এক মাত্র অভিযোগ ছিল, মহিলার অনুমতি ছাড়া জন্মনিরোধক খুলেছিলেন গুণতিলক। কিন্তু বিচারপতি সারাহ হাগেটের কাছে পেশ করা প্রমাণ অনুযায়ী গুণতিলকের কাছে সেই সুযোগ ছিল না। অভিযোগকারিণীর আইনজীবী দাবি, গুণতিলক মিথ্যে কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি মনে করেন ভাষা সমস্যা, ক্লান্তি, দ্বিধার কারণে তাঁর কথার মধ্যে অসঙ্গতি ছিল। গুণতিলক পুলিশকে সব রকম ভাবে সাহায্য করেছেন বলেই মনে করছেন বিচারপতি।
অস্ট্রেলিয়াতেই এত দিন ছিলেন গুণতিলক। তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে শ্রীলঙ্কায় ফিরতে বাধা নেই গুণতিলকের। তিনি বলেন, “বিচারপতি যা বলার বলে দিয়েছেন। আমার এই সময়ের মধ্যে যারা আমার পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এই ১১ মাস আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় ছিল।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার গুণতিলকের উপর। ইংল্যান্ডের কাছে হারের দিন ভোররাতে সিডনির হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গুণতিলককে। তাঁকে গ্রেফতার করে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ। পর দিন তাঁকে ছাড়াই দেশে ফিরেছিল গোটা দল। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চারটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সম্মতি ছাড়াই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া ছাড়াও অভিযোগকারী মহিলার গলা টিপে ধরেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন গুণতিলক।