বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানকে হারাতে শেষ ওভারে ৮ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। সেটা তুলতে গিয়েও সমস্যায় পড়ে তারা। জামান খানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান আসছিল না। সেই সময় এক রান নিতে গিয়ে রান আউটও হন প্রমোদ মদুশন। রান আউট হলেও নিজের বুদ্ধি কাজে লাগান তিনি। চরিথ আসালঙ্ক যাতে কোনও ভাবেই আউট না হন সে দিকে নজর ছিল তাঁর। সেই আসালঙ্কই শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ ওভারে একের পর এক ইয়র্কার করছিলেন জামান। ফলে বড় শট খেলতে পারছিলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। সেই সময় মদুশন একটি বলে ব্যাট লাগাতে না পারায় বল যায় উইকেটরক্ষক মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে। বল পিছনে যেতেই রান নিতে ছোটেন আসালঙ্ক। কিন্তু তখনও নিজের ক্রিজ ছাড়েননি মদুশন। আসালঙ্ক ক্রিজের কাছে পৌঁছনোর পরেই রান নিতে যান মদুশন। জামান বল ধরে উইকেটে মারায় রান আউট হন মদুশন। দলের জন্য নিজের উইকেট দিয়ে আসেন মদুশন।
বল উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই যদি মদুশন দৌড়তেন তা হলে হয়তো ক্রিজে পৌঁছে যেতেন। দলের রানও হত। আবার তাঁর উইকেটও থাকত। তা হলে কেন এমনটা করলেন তিনি? পুরোটাই করলেন আইসিসির নিয়ম কাজে লাগিয়ে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, যদি সঙ্গে সঙ্গে মদুশন রান নিতে যেতেন আর রিজওয়ানের থ্রো স্ট্রাইকিং প্রান্তে লাগত তা হলে আসালঙ্ক আউট হতেন। কারণ, তিনি সেই দিকে দৌড়চ্ছিলেন। সেই কারণেই ক্রিজ ছাড়েননি মদুশন। কারণ, যদি রিজওয়ানের থ্রো উইকেটে লাগত তা হলে তিনি আউট হতেন। ক্রিজের বেশি কাছে ছিলেন তিনি। আসালঙ্ককে বাঁচাতে চেয়েছিলেন তিনি। কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি।
এক বার রিজওয়ানের থ্রো স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেটে না লেগে বেরিয়ে যাওয়ার পরে দৌড় শুরু করেন মদুশন। তত ক্ষণে ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছেন আসালঙ্ক। মদুশন জানতেন, তিনি পৌঁছতে পারবেন না। দলের জন্য নিজের উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। মদুশনের সেই সিদ্ধান্তই পরে কাজে লাগে। শেষ দুই বলে ৬ রান করে শ্রীলঙ্কাকে জেতান আসালঙ্ক। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন তাঁরা। রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামবে শ্রীলঙ্কা।