(বাঁদিকে) আয়ূষ বাদোনি এবং প্রিয়ংশ আর্য। ছবি: ডিপিএল
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজির গড়লেন ভারতের দুই ক্রিকেটার আয়ূষ বাদোনি এবং প্রিয়ংশ আর্য। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে দুই ব্যাটার জুটি বেধে তুললেন ২৮৬ রান। তাঁদের দাপটে ২০ ওভারের ক্রিকেটে তৈরি হল আরও চারটি নজির।
সাউথ দিল্লি সুপারস্টার্জ়ের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাদোনি এবং আর্য। শনিবার নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে তাঁরা দু’জনেই শতরান করলেন। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান করে সাউথ দিল্লি। ৫০ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন আর্য। ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। এক ওভারে ছ’টি ছয়ও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। অন্য দিকে, বাদোনি ৫৫ বলে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৯টি ছক্কা। তাঁদের এই দাপটে তৈরি হয়েছে পাঁচটি নজির।
১) সর্বোচ্চ রানের জুটি: বাদোনি এবং আর্যর জুটিতে উঠেছে ২৮৬ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এত রানের জুটি এর আগে হয়নি। সে দিক থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন দিল্লির দুই তরুণ ক্রিকেটার।
২) এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা: বাদোনি তাঁর এই ইনিংসে ১৯টি ছক্কা মেরেছেন। এর আগে বিশ্বের কোনও ব্যাটার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক ওভারে এর থেকে বেশি ছক্কা মারতে পারেননি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ইনিংসে ক্রিস গেল ১৮টি ছক্কা মেরেছিলেন। তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিলেন বাদোনি।
৩) এক ওভারে সবচেয়ে বেশি ছয়: ম্যাচের একটি ওভারে ছ’টি ছক্কা মেরেছেন আর্য। যুবরাজ সিংহ, কায়রন পোলার্ড এবং নিকোলাস পুরানের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে ছ’টি ছক্কা মারলেন আর্য।
৪) এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয়: বাদোনি-আর্যর দাপটে শনিবার নর্থ দিল্লির বিরুদ্ধে মোট ৩১টি ছক্কা মেরেছেন সাউথ দিল্লির ব্যাটারেরা। এর আগে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনও দলের ব্যাটারেরা এত ছয় মারতে পারেননি। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড ছিল নেপালের। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬টি ছয় মেরেছিল তারা। সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে।
৫) কোনও দলের সর্বোচ্চ রান: ৫ উইকেটে ৩০৮ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। বিশ্বরেকর্ড নেপালের দখলে। ২০২৩ সালে এশিয়াম গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছিল নেপাল। সেই বিশ্বরেকর্ড এখনও অটুট রয়েছে।