South Africa T20 League

দক্ষিণ আফ্রিকার আইপিএলে দল পেলেন না সে দেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কই

আইপিএলের ধাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি লিগ। সেখানে বাভুমাকে কেউ কিনতে চায়নি। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান করার গতি কম থাকার কারণেই কোনও দল আগ্রহ দেখায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৮
Share:

দল পেলেন না বাভুমা। ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক তিনি। সেই তেম্বা বাভুমাকেই নিল না সে দেশের টি-টোয়েন্টি লিগের কোনও দল। নিলামে অবিক্রিত থেকে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। দু’বার তাঁর নাম নেওয়া হলেও কেউ কিনতে আগ্রহ দেখাননি।

Advertisement

আগামী বছরের শুরুতে আইপিএলের ধাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি লিগ। আইপিএল দলগুলির মালিকরাই সেখানে দল কিনেছেন। নিলামও হয়েছে আইপিএলের মতোই। সেখানে বাভুমাকে কেউ কিনতে চায়নি। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান করার গতি কম থাকার কারণেই কোনও দল আগ্রহ দেখায়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাভুমা। ৫৬২ রান করেছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি নজরে রাখা হয়, সেই স্ট্রাইক রেটই তাঁর পক্ষে নেই। ২৫টি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২০.৬০, যা চাহিদার তুলনায় বেশ কম। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ১২৪.৬৭ স্ট্রাইক রেট রয়েছে তাঁর। বোলিং বা ফিল্ডিংও আহামরি নয়। ফলে এই স্ট্রাইক রেট নিয়ে দল পাওয়া তাঁর পক্ষে মুশকিল ছিল বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাভুমা সাধারণত একটু ধীর গতিতে শুরু করেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটার তিনি নন। বরং কেউ আক্রমণ করলে উল্টো দিক ধরে রাখাই হয় তাঁর প্রধান কাজ। সেটাও তাঁর দল না পাওয়ার পিছনে একটি কারণ হতে পারে। তবে সমর্থকদের মতে, যে হেতু তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক, তাই কোনও না কোনও দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।

আইপিএলে কখনও খেলেননি বাভুমা। তবে কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে আইপিএলে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমি আইপিএলে খেলতে চাই। এটাও জানি, ভাল খেলতে পারলে তবেই ওখানে সুযোগ পাব। শুধু তাই নয়, কোনও দলের অধিনায়ক হতে চাই। জানি না কী ভাবে সুযোগ পাব। তবে এটা আমার একটা ইচ্ছা।”

বাভুমার মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অধিনায়ক ডিন এলগার কোনও দল পাননি। দলহীন কিগান পিটারসেনও। এঁরা দু’জনেই টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত। টি-টোয়েন্টির আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁদের খেলা মানানসই নয়। ফলে সুযোগ পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement