কলকাতার বিরুদ্ধে খেলার সময় রিঙ্কুকে দেখেছেন সৌরভ। পাশাপাশি বাকি দলেরও একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে ভাল লেগেছে তাঁর। — ফাইল চিত্র
দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা ছিলেন। ফলে গোটা আইপিএলই ডাগআউট থেকে দেখতে পেয়েছেন। নিজের দল প্লে-অফে উঠতে না পারলেও, বিপক্ষ দলগুলির কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রিঙ্কু সিংহের মতো তরুণ ক্রিকেটারের কথাও যেমন তাঁর মুখে, তেমনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুগ্ধ চেন্নাই সুপার কিংসের মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়েও।
আইপিএল শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি কলকাতায় ফিরেছেন সৌরভ। বুধবার নিজের অফিসের সামনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই ধোনির সম্পর্কে উচ্চকিত প্রশংসা করেন তিনি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই বনাম গুজরাতের ম্যাচ দেখার পর সৌরভ বলেছেন, “ধোনি অসাধারণ ক্রিকেটার। বড় ম্যাচে কী ভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয় সেটা দেখিয়ে দিল। খুব বড় অধিনায়ক। যে ভাবে দলকে চালনা করে সেটাও বাকিদের থেকে আলাদা।”
কলকাতার বিরুদ্ধে খেলার সময় রিঙ্কুকে দেখেছেন সৌরভ। পাশাপাশি বাকি দলেরও একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে ভাল লেগেছে তাঁর। বলেছেন, “রিঙ্কু ভাল খেলেছে। তবে শুধু রিঙ্কু নয়, অনেক ভাল ভাল ক্রিকেটার খেলেছে এ বছর। আইপিএল একটা বিরাট প্রতিযোগিতা। রিঙ্কু যেমন আছে, তেমনই রাজস্থানের ধ্রুব জুড়েল, যশস্বী জয়সওয়াল, মুম্বইয়ের সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা ভাল খেলেছে। পঞ্জাবের জিতেশ শর্মা নজর কেড়েছে।”
কলকাতায় বেশি দিন থাকা হবে না সৌরভের। জুনের প্রথম সপ্তাহেই লন্ডন যাওয়ার কথা। ওভালে বসে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল দেখবেন। সেই ম্যাচ নিয়ে সৌরভ বলেছেন, “ভাল খেলা হবে। কে জিতবে জানি না। কিন্তু দারুণ খেলা হবে এটা বলতে পারি। আমি থাকব ওখানে।” তার পরেই সৌরভের সংযোজন, “কোন দল এগিয়ে আছে বলতে পারব না। এ সব ম্যাচ সব সময় ৫০-৫০। আমি চাই ভারত জিতুক। কিন্তু আগে থেকে ও ভাবে বলা যায় না।”
আইপিএলে ভাল ছন্দের জেরে অনেকেই চেয়েছিলেন ছিটকে যাওয়া কেএল রাহুলের জায়গা বিকল্প উইকেটকিপার হিসাবে ঋদ্ধিমানকে নেওয়া হোক। কিন্তু ঈশান কিশনকে নিয়েছেন নির্বাচকরা। এ বিষয়ে সৌরভের মন্তব্য, “ঋদ্ধিমান সুযোগ পেলে খুশি হতাম। কিন্তু এটা নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় হওয়ার সময় কেএস ভরত উইকেটকিপার ছিল। সেটা ওর পক্ষে গিয়েছে হয়তো।”