গ্রেগ ভারতীয় দলের কোচ থাকার সময় দূরত্ব তৈরি হয় সৌরভের সঙ্গে। ফাইল ছবি।
শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেটজীবনে যাঁদের কোচ হিসাবে পেয়েছেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাতেও এক পুরনো বিতর্কের ছোঁয়া। গ্রেগ চ্যাপেলকে কি খানিকটা খোঁচা দিয়েছেন সৌরভ? তৈরি হয়েছে জল্পনা।
নেটমাধ্যমের পোস্টে তিন জন কোচের পুরো নাম লিখলেও গ্রেগ চ্যাপেলের নাম পুরো লেখেননি। চ্যাপেলকে ভিডিয়োতেও শুধু ‘গ্রেগ’ বলেই সম্বোধন করেছেন।
নেটমাধ্যমে সৌরভ লিখেছেন, ‘দেবু মিত্রর অভাব অনুভব করি। জন রাইট আমার অন্যতম প্রিয়। গ্যারি কার্স্টেন এবং গ্রেগ। শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা! জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে, যা আপনার অতীতকে পুনরুজ্জীবিত করে। এখানে আমার ব্যর্থতা এবং ফিরে আসার কাহিনি।’
ভারতীয় দলের কোচ থাকার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তার দীর্ঘ প্রভাব পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। তা নিয়ে অবশ্য একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি সৌরভ। গ্রেগের নাম না করে ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে তাঁর সাত দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন। সেই প্রশিক্ষণ তাঁকে ক্রিকেটার হিসাবে আরও উন্নত করেছিল বলেও জানিয়েছেন সৌরভ।
একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো বার্তাও দিয়েছেন সৌরভ। যেখানে নিজের ক্রিকেটজীবনের নানা উত্থান-পতনের কথা বলেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থতা, ১৯৯৬ সালে টেস্ট অভিষেকে শতরান, ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে হার, সে বছরই অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্স, ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফি জয়, নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া, ২০০৭ সালে ভারতীয় দল থেকে বাদ যাওয়া এবং ফিরে আসার মতো সাফল্য-ব্যর্থতার কথা বলেছেন সৌরভ। বলেছেন টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩৯ রানের ইনিংসের কথা, যা তিনি করেছিলেন ক্রিকেটজীবনের শেষ দিকে।
সৌরভ বলেছেন, পেশাদার বা ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থতা সকলেরই আসে। অনেক সময় ব্যর্থতা আমাদের চিন্তাশক্তিকেও প্রভাবিত করে। নতুন করে শুরুর করার কথা ভাবতে পারি না আমরা। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই হাল ছাড়তে নেই। ব্যর্থতাই আমাদের শিক্ষক। প্রতিটি ব্যর্থতা আমাদের কিছু না কিছু শিখিয়ে যায়।