মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম ম্যাচের পিচ ভারতীয় স্পিনারদেরই সাহায্য করেছে। চার উইকেট পাওয়া রাজেশ্বরী বলছিলেন, ‘‘এখানকার পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম। অনেকটা ভারতের উইকেটের মতো। তাই দেশে যে রকম ভাবে বল করি, এখানেও সে ভাবেই করে গিয়েছি। আর তাতেই সাফল্য এসেছে।’’ নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ হ্যামিল্টনে। সেখানকার বাইশ গজ কী আচরণ করে, সেটাই এখন দেখার।
অধিনায়ক মিতালি রাজ ও সহখেলোয়াড়দের সঙ্গে স্নেহ রানা। —ফাইল চিত্র।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। ভারতকে জেতানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছেন অলরাউন্ডার স্নেহ রানা। ম্যাচের পরে সতীর্থ রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের সঙ্গে কথোপকথনে স্নেহ জানিয়েছেন, তাঁর স্বপ্ন
সত্যি হচ্ছে।
বাঁ-হাতি স্পিনার রাজেশ্বরীও পাক জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন। তিনি তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। স্নেহ অপরাজিত ৫৩ রান করার পাশাপাশি অফস্পিন বোলিংয়ে তুলে নেন দু’উইকেট। তবে তাঁর এবং পূজা বস্ত্রকরের সপ্তম উইকেট জুটিতে ১২২ রানই ভারতের জয়ের মঞ্চ তৈরি
করে দিয়েছিল।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে স্নেহ বলেছেন, ‘‘আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলব। আর প্রথম ম্যাচেই এ রকম খেলার পরে সত্যিই গর্ব হচ্ছে। স্বপ্ন সত্যি হল। দারুণ উপভোগ করছি ব্যাপারটা।’’ সামনে তাঁর কী লক্ষ্য, সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। তাঁর কথায়, ‘‘মাঠে নামার সময় আমার একটাই লক্ষ্য থাকে। যখনই দলের প্রয়োজন হবে, তখনই যেন আমি সাহায্য করতে পারি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দলের কাজে আসতে পেরে ভাল লাগছে।’’
রাজেশ্বরী প্রশ্ন করেন, ‘‘পূজার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলতে কেমন লাগল? তোমরা দু’জন তো মাঠে নেমে খুব মজা করছিলে!’’ অল্প হেসে স্নেহ বলেন, ‘‘পূজার সঙ্গে ব্যাট করতে আমার খুবই মজা হচ্ছিল। জানতাম, পূজা বড় শট খেলতে পারে। তবে আমরা প্রথম দিকে নজর দিয়েছিলাম খুচরো রান নিয়ে স্ট্রাইক বদল করার উপরেও।’’ প্রথম বার পূজার সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেই সপ্তম উইকেটের জুটিতে মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়েন স্নেহ। তাঁদের দু’জনের সমীকরণ নিয়ে স্নেহর মন্তব্য, ‘‘আমার সঙ্গে এটাই পূজার প্রথম জুটি। আমরা যে ভাবে খেলছিলাম, তাতে ভীষণ মজা পেয়েছিলাম ওর সঙ্গে ব্যাট করে।’’
ভারতের পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজ়িল্যান্ড। ম্যাচ বৃহস্পতিবার। বিশ্বকাপের আগে এই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ় ১-৪ ফলে হারে ভারত। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পরে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির আবহ ভারতীয় শিবিরে। স্নেহ বলছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। তার উপরে পাকিস্তানের সঙ্গে। দারুণ ভাবে আমাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে। এই ছন্দটা পরের ম্যাচগুলোয় ধরে রাখতে চাই।’’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম ম্যাচের পিচ ভারতীয় স্পিনারদেরই সাহায্য করেছে। চার উইকেট পাওয়া রাজেশ্বরী বলছিলেন, ‘‘এখানকার পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম। অনেকটা ভারতের উইকেটের মতো। তাই দেশে যে রকম ভাবে বল করি, এখানেও সে ভাবেই করে গিয়েছি। আর তাতেই সাফল্য এসেছে।’’ নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ হ্যামিল্টনে। সেখানকার বাইশ গজ কী আচরণ করে, সেটাই এখন দেখার।