মান বাঁচালেন মুশফিকুর-লিটন। ছবি: টুইটার
চূড়ান্ত ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যেও এক জোড়া দুরন্ত ইনিংস। তাতেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে মান বাঁচল বাংলাদেশের। আয়োজকরা অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাসে নতুন নজিরও গড়ল। এক ইনিংসে ছ’টি শূন্য এবং দু’টি শতরানের এমন নজির দ্বিতীয়টি নেই।
বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান অতিরিক্ত ১৭। ছ’জন ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেন শূন্য রানে। তবু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মোমিনুল হকরা করলেন ৩৬৫ রান। দলের ৮৭ শতাংশ রানই এল দুই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। প্রথম টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করা মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকলেন ১৭৫ রান করে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাসের অবদান ঝকঝকে ১৪১। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ২৭২ রান।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের দাপটে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরও একটি লজ্জা যখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছে, সে সময়ই রুখে দাঁড়ালেন মুশফিকুর এবং লিটন। সিরিজে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন মুশফিকুর। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত কেবল অপরাজিতই থাকলেন না, দলের মানও রক্ষা করলেন লিটনকে সঙ্গী করে। উইকেটের এক দিক আগলে রাখলেন। গোটা ইনিংসে ঝুঁকি প্রায় নিলেনই না তিনি। কেবল ২১টি চারের সাহায্যে সাজালেন নিজের ইনিংস। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যাটিং করলেন। মুশফিকুরকে যোগ্য সঙ্গত করলেন লিটন। তাঁর ১৪১ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৬টি চার এবং ১টি ছয়। তিনি উইকেটের অপর প্রান্ত আগলে না রাখলে একা মুশফিকুরের পক্ষে গড় রক্ষা সম্ভব হত না।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাইজুল ইসলামের ১৫। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং তামিম ইকবাল কোনও রান করতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত (৮), মোমিনুল (৯), শাকিব আল হাসান (০), মোসাদেক হোসেন (০), খালেদ আহমেদ (০) এবং এবাদত হোসেনের (০) অবদানও তথৈবচ। শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার কাসুন রাজিথা ৬৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন। আসিখা ফার্নান্ডোও পেলেন ৯৩ রানে ৪ উইকেট।
জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ১৪৩। দিমুথ করুণারত্নে ৭০ এবং রাজিথা শূন্য রানে উইকেটে আছেন। ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো আউট হয়েছেন ৫৭ রানে। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস (১১)।