শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
ব্যাটে রান নেই শ্রেয়স আয়ারের। শেষ ১২টা ইনিংসে এক বারও ৫০ রান করতে পারেননি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম একাদশে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শ্রেয়স অবশ্য মেজাজেই আছেন। ব্যাট হাতে না পারলেও ফিল্ডিংয়ে ঘাটতি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। বেন স্টোকসদের উপহাসের জবাবও দিচ্ছেন পাল্লা দিয়ে।
টম হার্টলির বলে শ্রেয়সের ক্যাচ ধরে উল্লাসে মেতেছিলেন স্টোকস। সোমবার তর্জনী উঁচিয়ে উল্লাস করেছিলেন তিনি। ফর্মে না থাকা শ্রেয়সকে কিছুটা বিদ্রুপ করেছিলেন উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড অধিনায়ক। দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনেই জবাব দিলেন শ্রেয়স। ভারতীয় ব্যাটারের অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের সুবাদে রান আউট হন স্টোকস। কভারে ফিল্ডিং করা শ্রেয়স সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দেন। কয়েক সেন্টিমিটারের জন্য ক্রিজ়ে পৌঁছতে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে স্টোকসকে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় স্টোকসকে আউট করে উল্লাসে মেতে ওঠেন শ্রেয়সও। ঠিক স্টোকসের মতোই তর্জনী উঁচিয়ে দৌড়তে শুরু করেন কেকেআর অধিনায়ক। এমন জবাব বোধ হয় আশা করেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। মাথা নিচু করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজ়ে পিছিয়ে পড়া ভারতীয় ক্রিকেটারেরা বিশাখাপত্তনমে জিততে মরিয়া ছিলেন। রোহিতদের আচরণে সেই জেদ ফুটে উঠছিল বারে বারে। শ্রেয়স যেমন স্টোকসকে আউট করে উল্লাসে মাতেন, তেমন জনি বেয়ারস্টোকে আউট করে তাঁর সামনেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।