শেন ওয়ার্ন। ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এখন যা অবস্থা, তাতে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করতে অ্যারন ফিঞ্চদের গ্রুপে বাকি দু’টি ম্যাচে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতেই হবে।
অস্ট্রেলিয়াকে এ ভাবে হারতে দেখে হতাশ শেন ওয়ার্ন। তাঁর মতে, স্টিভ স্মিথকে টি-টোয়েন্টি দলে খেলানোর কোনও যুক্তিই নেই।
এমনিতে শনিবারের ম্যাচে নায়ক ইংরেজ ব্যাটার জস বাটলার। তিনি খেলেছেন অপরাজিত ৭১ রানের দুরন্ত ইনিংস। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে তাঁর মারা তিনটি ছক্কা বিস্ময়কর ভাবে ৯০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এবং একতরফা ভাবে ইংল্যান্ড জেতে আট উইকেটে।
ফিঞ্চ জানেন, ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের কাছে বিশ্রী ভাবে হেরে যাওয়ার পরে তাঁদের বাকি দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে। কোনও প্রতিপক্ষকে তিনি হাল্কা ভাবে নিচ্ছেনও না। ‘‘বাংলাদেশ রীতিমতো ভাল দল। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের দিনে বিস্ফোরক ব্যাট করে। ক্যারিবিয়ানদের শক্তি, অভিজ্ঞতাটাও আমাদের অজানা নয়। এই ম্যাচগুলো জিততে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আসলে ইংল্যান্ডের কাছে যে ভাবে দল হারল, তার পরে নেট রানরেটটাই এখন আমাদের সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ,’’ বলেছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন এই হারের জন্য দায়ী করেছেন ভুল রণনীতিকে। একইসঙ্গে মনে করছেন, স্মিথকে এখনই টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত। যদিও স্মিথ তাঁর খুবই পছন্দের ক্রিকেটার। গণমাধ্যমে ওয়ার্ন লিখেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচন চূড়ান্ত হতাশ করেছে। মিচেল মার্শকে কেন বাদ দেওয়া হবে? গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সবসময়ই পাওয়ার প্লে-র পরে পাঠানো উচিত। ওর জায়গায় মার্কাস স্টয়নিসকে নামানোই যেত। অস্ট্রেলিয়ার রণনীতিকে খুবই খারাপ বলতে বাধ্য হচ্ছি। স্টিভ স্মিথকে ভালবাসি। কিন্তু ওকে টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া উচিত না। মার্শকে খেলোনাটা বেশি দরকার।’’
ওয়ার্ন মুগ্ধ পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের খেলা দেখে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সত্যিকারে টি-টোয়েন্টি দল হচ্ছে ইংল্যান্ড। আশা করি, ওদের দেখে অস্ট্রেলিয়ার সামনের দিনে কী ভাবে খেলতে হবে শিখে নেবে। বিশেষ করে শনিবার বিশ্রী ভাবে হারের পরে। পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডই দেখিয়ে দিচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা কী ভাবে খেলা উচিত। অস্ট্রেলিয়াকে অনেক কিছু করতে হবে। মানসিকতায় বদল আনা চাই। এখনকার মতো খেললেও চলবে। সঙ্গে দলে পরিবর্তনটাও জরুরি।’’