এমসিজি-তে ওয়ার্নকে ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। ছবি: রয়টার্স
শেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট দুনিয়ার এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। সারা রাত চুটিয়ে পার্টি করার পর সকালে মাঠে নেমে বিপক্ষের ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে দেখা দিতেন। ক্রিকেট থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া লেগ স্পিনকে শুধু ফিরিয়েই আনেননি, নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পের পর্যায়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্ন যত উইকেট নিয়েছেন তত বেড়েছে তাঁর ভক্তের সংখ্যা। ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। অনেকেই শোকে এক রকম ভেঙে পড়েছেন। আসলে ওয়ার্নের জনপ্রিয়তার কারণ শুধু ক্রিকেট নয়। তাঁর বেহিসেবি, বেপরোয়া জীবন যাত্রা। বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন ওয়ার্ন। সেই সব বিতর্ক তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহকে আরও গাঢ় করেছে।
খেলোয়াড় সুলভ শৃঙ্খলা কখনই দেখা যায়নি ওয়ার্নের জীবনে। মদ্যপান, ধুমপান করতেন নিয়মিত। ফিটনেস নিয়ে কখনই সচেতন ছিলেন না। ওয়ার্নের দর্শন ছিল, ক্রিকেট খেলতে হয় মস্তিষ্ক এবং দক্ষতা দিয়ে। ক্রিকেট পণ্ডিতরা প্রয়াত তারকার এই যুক্তিকে গুরুত্ব না দিতেই পারেন। তাতে বোধ হয় ওয়ার্ন ভক্তদের যায় আসে না। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) বাইরে ওয়ার্নের একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি রয়েছে। সেই মূর্তির কাছেই জড়ো হচ্ছেন ওয়ার্ন ভক্তরা। অনেকের চোখেই জল। প্রয়াত প্রিয় তারকাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ফুল ছাড়াও তাঁরা হাতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বিয়ারের বোতল, সিগারেট এবং মাংস। কারণ এ সবই ছিল ওয়ার্নের প্রাত্যহিক জীবনের অতি প্রয়োজনীয়।
এমসিজি ছিল স্পিনের রাজার প্রিয়তম ক্রিকেট মাঠ। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষদের মুখে ঘুরে ফিরে আসছে ওয়ার্নের ক্রিকেট জীবনের কথা। মাইক গ্যাটিংকে করা শতাব্দীর সেরা সেই বলের কথাও।