RP Singh

বাবা খেলেছিলেন ভারতের হয়ে, ছেলে খেললেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে

১৯৮৬ সালে ভারতের হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলেছিলেন রুদ্র প্রতাপ। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তিনি ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে কোচিংও করান রুদ্র প্রতাপ। তাঁর ছেলে হ্যারি দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে ফিল্ডিং করলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ২২:৪৫
Share:

হ্যারি সিংহ। ছবি: ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

ভারতের প্রাক্তন পেসার রুদ্র প্রতাপ সিংহের (সিনিয়র) ছেলে হ্যারি সিংহ খেললেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ১৯৮৬ সালে ভারতের হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলেছিলেন রুদ্র প্রতাপ। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তিনি ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে কোচিংও করান রুদ্র প্রতাপ। তাঁর ছেলে হ্যারি দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে ফিল্ডিং করলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।

Advertisement

২০২২ সালে হ্যারি ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছিলেন। এ বার সিনিয়র দলে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে জায়গা করে নিলেন। ইংল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন হ্যারি। লিস্ট এ ক্রিকেটে খেলেছেন ২১টি ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৫২০ রান রয়েছে তাঁর। সর্বোচ্চ ১৪১।

হ্যারির বাবা শেষ বার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন ১৯৯১ সালে। মধ্যাঞ্চলের হয়ে দলীপ ট্রফি খেলেছিলেন রুদ্র প্রতাপ। এয়ার ইন্ডিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের হয়েও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।

Advertisement

ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়েই খেলেন হ্যারি। সেই দলের হয়ে ওপেন করেন তিনি। হ্যারি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাওয়ার পর রুদ্র প্রতাপ বলেছিলেন, “কিছু দিন আগে আমরা একটা ফোন পাই ইসিবি-র থেকে। সেখানে বলা হয় ইংল্যান্ডের যে অনূর্ধ্ব-১৯ দল শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে খেলবে, সেই দলে নেওয়া হয়েছে হ্যারিকে।” দক্ষিণ এশিয়ার বহু ক্রিকেটার এবং অনেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের হয়ে যুব দলে খেলেছেন। রুদ্র প্রতাপ জানতেন সেখান থেকে সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়া খুব কঠিন লড়াই। তিনি বলেছিলেন, “সহজ হবে না। প্রচুর রান করতে হবে। অনেক ক্রিকেটারকে দেখেছি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে, কিন্তু আসল সময় ব্যর্থ হয়। হ্যারিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হয়ে দেখাতে হবে।”

বাবার আশা আংশিক ভাবে পূর্ণ করেছেন হ্যারি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিনিয়র দলের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নিচ্ছেন। দরকারে ফিল্ডিং করছেন। আগামী দিনে হয়তো মূল দলেও ঢুকে পড়বেন। প্রথম একাদশেই দেখা যাবে হ্যারিকে।

রুদ্র প্রতাপের বয়স ৫৯ বছর। তাঁর মেয়েও ক্রিকেট খেলতেন। পরে যদিও তিনি মেডিসিন নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। হ্যারি খেলা শুরু করে আট বছর বয়সে। তিনি ভাল ফুটবলও খেলতেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement