মুকেশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে চরম ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের জোরে বোলারেরা। যশপ্রীত বুমরা বাদে বাকি কোনও বোলারকেই জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় টেস্টে দলে বদলের ইঙ্গিত শনিবারই দিয়ে রাখলেন রোহিত শর্মা। সেঞ্চুরিয়নে অনুশীলনে বাংলার পেসার মুকেশ কুমারের পিছনে পড়ে থাকতে দেখা গেল ভারতের অধিনায়ককে।
রবিবার কেপ টাউনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে শনিবার সেঞ্চুরিয়নে অনুশীলন করে ভারতীয় দল। সেখানে মুকেশের বলের সামনে অনেক ক্ষণ খেলেন রোহিত। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন। তারও প্রস্তুতি সেরে রাখলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ব্যাট করেন রোহিত। তার মধ্যে ৪৫ মিনিটই মুকেশের বলে।
রোহিত চাইছিলেন, মুকেশ একটি নির্দিষ্ট কোণ থেকে বল করুন। তিনি মুকেশের উদ্দেশে বলেন, “বল হাওয়ার সাহায্যে ভেতরের দিকে আসছে। কিন্তু তুই চেষ্টা কর কোণ থেকে ভেতরে আনার।” রোহিত চাইছিলেন, ৪-৬ মিটার লেংথে বল ফেলুন মুকেশ। বাংলার পেসার সেটাই করছিলেন। রোহিতকে বেশ তৃপ্ত দেখায় মুকেশের বোলিং দেখে। বেশ কয়েক বার রোহিতকে পরাস্ত করেন মুকেশ। অধিনায়কের প্রশংসাও পান।
কিছু ক্ষণ পরে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর রোহিতকে প্রশ্ন করেন, “তুমি এই দিকের নেটে আসবে?” সে দিকের নেটে শুধু মাত্র থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞেরা ছিলেন। রোহিত জবাবে বলেন, “না। আমি এই নেটেই আরও ১০ মিনিট ব্যাট করব।” এর পর মুকেশের বোলিংয়ের সামনে আরও কিছু ক্ষণ অনুশীলন করেন রোহিত। পরে তাঁকে কব্জির অবস্থান এবং কোন লেংথে ধারাবাহিক ভাবে বল করে যেতে হবে, সেটা বলে দেন।
মুকেশ যখন রোহিতের সঙ্গে ছিলেন, তখন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে নিয়ে পড়েছিলেন বোলিং কোচ পরশ মামব্রে। প্রথম টেস্টে মুকেশের বদলে প্রসিদ্ধকে খেলিয়েছিল ভারত। কিন্তু হতাশ করেছেন প্রসিদ্ধ। তিনি এ দিন অনুশীলনে বল করেননি। প্রায় ৭৫ মিনিট ধরে তাঁকে বোঝান মামব্রে।