রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
গত রবিবার শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। পর দিন ভোররাতেই দেশে ফিরে আসেন বেশির ভাগ ক্রিকেটার। তার মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তিনি যখন বাড়ি ফিরছেন তখনও দিনের আলো ফোটেনি। তার মধ্যেই সমর্থকদের আব্দার মেটালেন ভারতের অধিনায়ক। তাঁদের সঙ্গে দেদার ছবি তুললেন। রোহিতের আচরণ মন জয় করে নিয়েছে সমর্থকদের।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় রোহিতদের বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। রোহিতের সঙ্গে ছবি তোলার জন্যে অনেকে অপেক্ষা করছিলেন। প্রথমে একটু ইতস্তত করলেও পরে রোহিত গাড়ি থেকে নেমে সমর্থকদের আব্দার মেটান। রোহিতের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে চলে আসেন দুই পুলিশকর্মীরও। তখনও রোহিতের মধ্যে কোনও ক্লান্তি নেই। সবার অনুরোধ মিটিয়ে বাড়ি ঢোকেন রোহিত।
সে দিনের রাতেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের দল বেছে নেওয়া হয়। সেই বৈঠকে রোহিতও ছিলেন। দলে ফেরানো হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। অশ্বিনকে নিয়ে প্রশ্ন করায় রোহিত বলেন, “অশ্বিন একটানা টেস্ট খেলে চলেছে। ইদানীং ও মাঠে না নামলেও আমার কাছে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ওর যা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাতে এটুকু বলতে পারি, ওর শরীরের থেকে মাথাটা বেশি চলে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। জেনে নিয়েছি ফিটনেসের দিক থেকে ও কোন জায়গায়। এমন নয় যে ও ক্রিকেটই খেলেনি অনেক দিন। এই ফরম্যাটে হয়তো অনেক দিন নামেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ়ে সুযোগ রয়েছে অশ্বিনকে আরও এক বার দেখে নেওয়ার।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল খেলিয়ে রোহিতরা দেখে নিতে চাইছেন বাকিরা কতটা তৈরি। অধিনায়কের কথায়, “আমরা সবাইকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চাই যাতে ওরা তৈরি থাকতে পারে। তৈরি থাকাই যে কোনও ক্রীড়াবিদের আসল কাজ। জীবনে যে কোনও সময় সুযোগ চলে আসতে পারে। তা ছাড়া, আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী সেটাও বুঝে নেওয়া দরকার। যখনই কাউকে সুযোগ দেওয়ার সময় আসে, আমরা সেটা দিই।”
এশিয়া কাপ জয় যে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এটা মেনে নিয়েছেন রোহিত। কিন্তু একটা ট্রফি জিতেই থেমে থাকতে চান না তাঁরা। রোহিত বলেন, “নিরপেক্ষ থাকাই ঠিক বলে মনে করি। ভাল পারফরম্যান্স ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে ভাল জায়গায় রাখে। আমরাও ভাল খেলতেই চাই। কিন্তু একটা ট্রফিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। আর একটা প্রতিযোগিতা আসছে। তাই বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছি না। বিশ্বকাপে দলে ভারসাম্য রাখা দরকারি। আমার নজর থাকবে সে দিকেই।”