LSG vs CSK match in IPL 2025

আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান ২৭ কোটির পন্থের, জয়ে ফিরতে ধোনির চেন্নাইয়ের চাই ১৬৭ রান

মহা নিলামে ২৭ কোটি টাকা দিয়ে লখনউ তাঁকে কেনার পর ঋষভ পন্থের ব্যাট শুধু হতাশই করছিল। অবশেষে ব্যাটে রান ফিরে পেলেন তিনি। অধিনায়কের অর্ধশতরানে ভর করে মন্থর পিচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৬৬/৭ তুলল লখনউ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৩
Share:
cricket

ঋষভ পন্থ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

মহা নিলামে ২৭ কোটি টাকা দিয়ে লখনউ তাঁকে কেনার পর ঋষভ পন্থের ব্যাট শুধু হতাশই করছিল। অবশেষে ব্যাটে রান ফিরে পেলেন তিনি। অধিনায়কের অর্ধশতরানে ভর করে মন্থর পিচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৬৬/৭ তুলল লখনউ। ব্যর্থ হলেন মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরানেরা। এটাই এ বারের আইপিএলে লখনউয়ের সবচেয়ে কম রান।

Advertisement

প্রথম বলেই খলিল আহমেদ তুলে নেন এডেন মার্করাম। চলতি মরসুমে মার্করাম এবং মিচেল মার্শের জুটি বেশ কয়েক বার সফল হয়েছে। সেই কাঁটা শুরুতেই উপড়ে ফেলে চেন্নাই। খলিলের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন মার্করাম। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায়। পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে ক্যাচ ধরেন রাহুল ত্রিপাঠী।

তবে চেন্নাইয়ের চমকের তখনও বাকি ছিল। প্রথম উইকেট পড়ার পর নামেন নিকোলাস পুরান। চলতি মরসুমে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় যিনি সবার উপরে। তবে মন্থর উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না নেমেও। খলিল এবং অংশুল কম্বোজকে একটি করে চার মারেন। চতুর্থ ওভারে তিনিও সাজঘরে।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে কম্বোজের প্রশংসা প্রাপ্য। তাঁর ধীরগতির বল পুরানের প্যাডে লাগলেও প্রথমে ধোনি ডিআরএস নিতে চাননি। তার পর হাসিমুখেই রাজি হন। দেখা যায়, কম্বোজের আন্দাজই সঠিক। তৃতীয় আম্পায়ার পুরানকে আউট দিতেই সতীর্থেরা ঘিরে ধরেন কম্বোজকে।

দলের দুই আগ্রাসী ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা খোলসের মধ্যে ঢুকে যায় লখনউ। মার্শ তবে আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরে আসেননি। কিন্তু রান তোলার গতি খুবই কম ছিল। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৪২ রান ওঠে।

দশম ওভারে ফিরে যান মার্শ (৩০)। তখন লখনউয়ের রান রেট সাতের সামান্য বেশি। পাঁচে নামা আয়ুষ বাদোনি তাই শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন। তবে হার মানেন ধোনির ক্ষিপ্রতার কাছে। জাডেজার বলে অনেকটা এগিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন বাদোনি। ধোনি অনায়াসে স্টাম্প করে দেন।

দলের বিপদের সময় এগিয়ে আসেন পন্থ। দু’-একটি সাহসী শট নিলেও, মূলত ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ার দিকেই নজর দেন তিনি। অকারণ ঝুঁকি নেননি। একই রাস্তায় হাঁটেন আব্দুল সামাদও। তবে শেষ ওভারে দু’জনেই ফেরেন সাজঘরে। প্রথম বলে ঝুঁকি নিতে রান নিতে গিয়ে ধোনির ছোড়া বলে রান আউট হন সামাদ। পরের বলেই পন্থের শট তালুবন্দি করেন ধোনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement