Ricky Ponting

Ricky Ponting: গিলক্রিস্টের সঙ্গে ঋষভের মিল খুঁজে পেলেও সাবধানী পন্টিং

বিশেষ করে, আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করার মধ্যে অনেকেই দেখতে পেয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় তারকার ছায়া।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৫৮
Share:

প্রশংসা: দিল্লির কোচ পন্টিংয়ের বড় প্রশংসা ঋষভকে নিয়ে।

জাতীয় দলে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে তিনি সাদৃশ্য খুঁজে পান ঋষভ পন্থের। তবে এখনই প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় তারকার সঙ্গে ভারতের এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারের তুলনা টানতে রাজি নন রিকি পন্টিং। তিনি মনে করেন, কমপক্ষে ৫০-৬০টি টেস্ট খেলার পরে সেই তুলনা করা যেতে পারে।

Advertisement

এর আগেও বহুবার গিলক্রিস্টের সঙ্গে তুলনা করে হয়েছে ঋষভকে। বিশেষ করে, আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করার মধ্যে অনেকেই দেখতে পেয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় তারকার ছায়া। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল পন্টিংকে। যিনি এই মুহূর্তে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের প্রধান কোচ এবং সেই দলের অন্যতম সেরা তারকার নাম ঋষভ পন্থ।

প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “হ্যাঁ, খানিকটা সাদৃশ্য তো দুজনের মধ্যে রয়েছে। আমি জানি, মাঠে নেমে ঋষভ কতটা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। তবে ও কমপক্ষে ৫০-৬০টী টেস্ট ম্যাচ খেলুকষ তার পরে ওকে সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটার বলা যায় কি না, তা নিয়ে গিলির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।”

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৬ টেস্টে গিলক্রিস্টের মোট রান ছিল ৫৫৭০। গড় ৪৭.৬। তারই সঙ্গে দেশের হয়ে গিলি খেলেছিলেন ২৮১টি একদিনের ম্যাচ। মোট রান ছিল ৯৬১৯। রানের গড় ৩৫.৮৯। সেখানে এখনও পর্যন্ত ঋষভ দেশের হয়ে খেলেছেন ২৮টি টেস্ট, ২৩টি একদিনের ম্যাচ এবং ৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পন্টিং বলেছেন, “যদি ব্যক্তিত্বের তুলনা করা হয়, তা হলে আমি বলব ঋষভ মাঠে অনেক বেশি সক্রিয়, প্রচুর কথাবার্তা বলে এবং ওর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রাটা বেশি।” কোন জায়গায় পিছিয়ে গিলক্রস্ট? প্রাক্তন সতীর্থ বলেছেন, “গিলির মধ্যেও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বেশিই ছিল কিন্তু ও ছিল শান্ত এবং অন্তর্মুখী। তবে ব্যাট হাতে নামলে ওর চেহারা আমূল পাল্টে যেত। সেটা ঠিক ঋষভের মতোই।”

দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলার সুবাদে গিলক্রিস্টের মানসিকতাকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন পন্টিং। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “গিলি এমন ধরনের ক্রিকেটার ছিল যাকে কোনও সময় বলতে হয়নি, কী ভাবে ম্যাচটা খেলতে হবে। সেটা আরও ভাল বুঝেছিলাম সিডনিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে।”

কী হয়েছিল সেই টেস্টে? পন্টিং বলেছেন, “আমরা দুজন ব্যাটিং করছিলাম। মাত্র দু-তিন ওভার খেলা বাকি ছিল। উইকেটে ক্ষত তৈরি হওয়ায় রং অন এবং ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডার রেখে বল করছিল দানিশ কানেরিয়া। ওকে বলেছিলাম ওভারটা কাটিয়ে দিতে হবে। তার পরে দেখলাম, পরের বলে গিলি বিশাল ছয় হাঁকাল। বুঝলাম, আমার পরামর্শ ও আদৌ কানেই তোলেনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement