আর অশ্বিন ফাইল চিত্র।
তাঁকে ঘিরে সবসময়ই প্রত্যাশা থাকে, সেটা ভালই জানেন আর অশ্বিন। অভিজ্ঞ এই অফস্পিনার মনে করেন, হালফিলে সে প্রত্যাশা পূরণ করতে তিনি সফলও। পাশাপাশি মাঠের বাইরের যাবতীয় হইচই এড়িয়ে যাওয়ার কৌশলও এখন ভাল মতো রপ্ত করেছেন বলে দাবি করলেন তিনি।
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টেও রীতিমতো ভাল বোলিং করেছেন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। ৮২ রানে। নিউজ়িল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই রবিবার তুলে নিয়েছেন একটি উইকেট। কানপুরে অবশ্য প্রথম ইনিংসে তাঁর থেকেও সফল তরুণ বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর পটেল। গ্রিন পার্কে যিনি মাত্র ৬২ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় দিনের শেষে অশ্বিন বলেছিলেন, ‘‘আমরা দু’জনে মিলে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকই করতে পেরেছি। প্রচুর ওভার বল করেছি। অথচ ওভার প্রতি রান দিয়েছি ২.৫-এর মতো। জানতাম, এই উইকেটে খুব ভাল কিছু করতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। সেটা করার জন্য আমরা তৈরিই ছিলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দলের সবাই দায়িত্ব পালন করেছে। এমনিতে আমার মনে হয়েছিল, নতুন বল থাকার সময়ই ব্যাটাররা বেশি রান তুলে নেবে। অথচ দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরে আমরাই কিন্তু
উইকেট নিয়েছি।’’
অশ্বিন মনে করেন, কোনও কিছু মুখে বলা সহজ। কঠিন, তাকে কাজে পরিণত করা। ‘‘সস্তা কথাবার্তা একেবারেই ভাল লাগে না। বলিও না। তবে বিগত অনেকটা সময় ধরেই আমি সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। ক্রিকেটই আমার জীবনের সব। এই মুহূর্তে আমি ক্রিকেট জীবনের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে বাইরের চেঁচামেচি এড়িয়ে থাকা জরুরি। আর সেটাই করছি। নিজেকে সেই সব চিৎকার-চেঁচামেচির থেকে দূরে রাখতে পারছি। মনে হয়, আগে কখনও এই কাজটা এত ভাল ভাবে করতে পারিনি,’’ বলেছেন ভারতের অন্যতম সেরা স্পিনার। তৃতীয় দিনের পরে গ্রিন পার্কের পিচ নিয়ে অশ্বিনের পর্যবেক্ষণ, ‘‘উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যাটার ও বোলাররা হয়রান হয়ে যাচ্ছে। খুব ভাল লাগবে, এ রকম একটা উইকেটেও যদি আমাদের ব্যাটারদের কেউ কেউ ভাল রান করে দেয়।’’