রবি শাস্ত্রী। —ফাইল চিত্র
কয়েক দিন আগেই ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মুখ খুলেছেন দলের সাজঘর নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, দলে কেউ কারও বন্ধু নয়। সবাই শুধু সতীর্থ। এই প্রসঙ্গে এ বার অশ্বিনকে পাল্টা দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সতীর্থেরা কখনও কারও বন্ধু হয় না।
একটি সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমার কাছে দলের সবাই শুধুই সতীর্থ। এক জনের জীবনে ক’জন ভাল বন্ধু থাকে! যদি সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে ক’জন কাছের বন্ধু রয়েছে, সবাই উত্তরে বলবে ৪-৫ জন। আমার জীবনেও পাঁচ জন কাছের বন্ধু রয়েছে। আমি তাতেই খুশি। তার বেশি আমার চাই না।’’
শাস্ত্রীর মতে, ধারাভাষ্যকার হিসাবেও সবাই তাঁর সতীর্থ। একসঙ্গে কাজ করেন তাঁরা। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘খেলোয়াড় জীবনের পরে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ও সবাই আমার সতীর্থ। তার বেশি কেউ নয়।’’ নিজের কথায় শাস্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, খেলোয়াড়েরা প্রত্যেকেই পেশাদার। তাঁরা একসঙ্গে একটি দল হিসাবে খেলেন বটে, কিন্তু সেটা অন্য সব পেশার মতোই। সবাই সবার সতীর্থ। ব্যক্তিগত সম্পর্ক এর বেশি থাকা উচিত নয়।
কয়েক দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে অশ্বিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি সমস্যায় পড়লে কি সতীর্থদের কারও কাছে সাহায্য চান? জবাবে ভারতীয় স্পিনার বলেন, ‘‘এখন আর আমরা কেউ কারও বন্ধু নই। সবাই সবার সহকর্মী। একটা সময় ছিল যখন সাজঘরে সবাই সবার বন্ধু ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সম্পর্ক নেই। সময়টা অনেক বদলে গিয়েছে। এখন সাজঘরে বসে থাকা এক ক্রিকেটার তার পাশের ক্রিকেটারকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাই সতীর্থের সঙ্গে গল্প করারও সময় নেই কারও কাছে।’’
অশ্বিন বিশ্বাস করেন, আলোচনা করলে খেলার মান আরও ভাল হয়। কারণ, ক্রিকেট দলগত খেলা। কিন্তু এই দলগত খেলায় এখন সবাই একা একা হাঁটতে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। ভারতীয় স্পিনার বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি নিজের খেলা নিয়ে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করলে খেলার উন্নতি হয়। কারণ, অনেক ভুল চোখে পড়ে। কিন্তু এখন কেউ কারও কাছে যায় না। সবাই একা পথ চলছে। হতে পারে পেশাদার ক্রিকেটে এখন কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ আছে। কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি যে নিজেরা আলোচনা করলেও অনেক উপকার হয়।’’ কিন্তু অশ্বিনের উল্টো কথা শোনা গেল শাস্ত্রীর মুখে।