Ranji Trophy

তিরুঅনন্তপুরমের ঘূর্ণি পিচে জলজের সাত শিকার, ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার

চলতি মরসুমে মোট সাত জনের অভিষেক হয়েছে বাংলা শিবিরে। কিন্তু তাঁদের এক জনও স্থায়ী জায়গা করতে পারেননি দলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মরণ-বাঁচন ম্যাচে আবারও মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলা। তিরুঅনন্তপুরমের ঘূর্ণি পিচে কেরলের ৩৬৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার রান আট উইকেটে ১৭২। সাত উইকেট অভিজ্ঞ অফস্পিনার জলজ সাক্সেনার।

Advertisement

চলতি মরসুমে মোট সাত জনের অভিষেক হয়েছে বাংলা শিবিরে। কিন্তু তাঁদের এক জনও স্থায়ী জায়গা করতে পারেননি দলে। স্থানীয় ক্রিকেটে ভাল খেলে আসা ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে দল পরিচালন সমিতি। কিন্তু আদৌ কি যোগ্য ক্রিকেটারেরা দলে সুযোগ পাচ্ছেন? ঘূর্ণি পিচে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের মতো অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনারকে বসিয়ে কেন তরুণ বাঁ-হাতি স্পিনার অঙ্কিত মিশ্র সুযোগ পাচ্ছেন? তাঁর ‘ক্লাব’ দেখে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না তো?

ঘূর্ণি পিচে প্রথমে ব্যাট করা দলই যে বাড়তি সুবিধে পায়, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু পার্থক্য এতটা কি হতে পারে যেখানে একটি দলের দু’জন শতরান করছেন, আর অন্য দলে অর্ধশত রানের তালিকায় নাম শুধুমাত্র এক জনের?

Advertisement

সচিন বেবি (১২৪) ও অক্ষয় চন্দ্রনের (১০৬০ দাপটে ৩৬৩ রান তোলে কেরল। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা পিছিয়ে ১৯১ রানে। এতটা পিছিয়ে থাকা দল কি ম্যাচে ফিরতে পারবে? জিততে না পারলে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে বাংলার।

বাংলা রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। পয়েন্ট ১২। প্রত্যেকটি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল যায় পরবর্তী পর্বে। বাংলার গ্রুপ থেকে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মুম্বই। ২২ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। এই ম্যাচ বাংলার মরণ-বাঁচন লড়াই। দু’টি ম্যাচ থেকে সর্বাধিক পয়েন্ট না পেলে কোনও আশাই আর বেঁচে থাকবে না। এমন একটি ম্যাচে মরিয়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে না বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে। প্রথম দিন একাধিক ক্যাচ পড়ে। দ্বিতীয় দিন তিন জন ছাড়া বিপক্ষ স্পিনারদের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না। প্রত্যেক দিন কি আর অনুষ্টুপ মজুমদার শতরান করে দলকে বাঁচাবেন? তবুও জ্বর নিয়েই এ দিন ব্যাট করতে হয় তাঁকে।

অভিমন্যু ঈশ্বরন (৭২) ও সুদীপ কুমার ঘরামি (৩৩) ছাড়া কেরলের স্পিনারদের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না। করণ লাল লড়াই করে চলেছেন ২৭ রানে। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল (৯)।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। লিখেছেন, ‘‘পরের বার থেকে রঞ্জি ট্রফি বন্ধ করে দেওয়া হোক। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা ঠিক মতো পরিচালনাই করা হচ্ছে না।’’ এ বিষয়ে মনোজকে প্রশ্ন করতে বলেন, ‘‘আম্পায়ারিং খুব নিম্নমানের। জলজ বল করার সময় মুখ থেকে ‘নো’ শব্দ বার করছে। যার নিয়ম নেই। ব্যাটসম্যানেরা ভাবছে নো-বল। তাই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে।’’ মনোজ নিজেও নাকি নো-বল ভেবেই বিভ্রান্ত হয়ে আউট হন।

অবসর থেকে ফিরে এসে এ বারের রঞ্জি ট্রফি খেলছেন মনোজ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তো?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement