প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অনুষ্টুপের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলা। অর্ধশতরান করে খেলছেন বাংলার ব্যাটার। —ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টানলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। তাঁদের অর্ধশতরানে ভর করে পাল্টা লড়াই করছে মনোজ তিওয়ারির দল।
ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে তখন ভাল বল করছিলেন মধ্যপ্রদেশের বোলাররা। আর একটি উইকেট হারালে বড় চাপ পড়ে যেত মিডল অর্ডারের উপর। সেটা হতে দিলেন না দুই ব্যাটার। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপের সঙ্গে তরুণ সুদীপের জুটি বাংলাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করল।
কোনও তাড়াহুড়ো করলেন না তাঁরা। বল দেখে শট খেললেন। যতটা পারলেন সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করলেন। তার ফলও পেলেন দুই ব্যাটার। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে উইকেট কিছুটা সহজ হয়ে গেল। তখন কয়েকটি বড় শট দেখা গেল বাংলার ব্যাটারদের কাছে। চার মেরে নিজের অর্ধশতরান করলেন অনুষ্টুপ। অন্য দিকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করলেন সুদীপ।
চা বিরতি পর্যন্ত বাংলার রান ২ উইকেটে ২১৩। অনুষ্টুপ ৮০ ও সুদীপ ৭৪ রান করে খেলছেন। তাঁদের ব্যাটিং ভরসা দিচ্ছে বাংলাকে। প্রথম ইনিংসে যত সম্ভব বেশি রান করার লক্ষ্য মনোজদের। সেই পথে এগিয়ে চলেছে দল।
বুধবার ইনদওরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং করণ লাল। মধ্যপ্রদেশের বোলারদের প্রাথমিক চাপ সামলে দেন তারা। প্রথম উইকেটে ৫১ রান উঠে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল ওপেনিং জুটি বড় রানের দিকে এগোচ্ছে। এমন সময় আঘাত হানেন মধ্যপ্রদেশের বোলার গৌরব যাদব। ফিরিয়ে দেন অভিমন্যুকে। ৩৩ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন অভিমন্যু। এ বার বাংলার অন্যতম সফল ব্যাটার তিনি। তাঁকে হারানোয় আচমকাই চাপে পড়ে যায় মনোজ তিওয়ারির দল।
ধাক্কার তখনও বাকি ছিল। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন আর এক ওপেনার করণও। তাঁকে বোল্ড করেন অনুভব আগরওয়াল। ৪৫ বলে ২৩ রান করেন করণ। সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছে বাংলা।