৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট মনোজদের। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে আর কোনও বাধা রইল না তাঁদের। ফাইল চিত্র
রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা। হরিয়ানাকে ইনিংস এবং ৫০ রানে হারিয়ে দিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। বোনাস পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচ জিতল বাংলা। ৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট মনোজদের। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে আর কোনও বাধা রইল না তাঁদের। বাংলার ব্যাটার এবং বোলারদের দাপট দেখছে রঞ্জি। এখনও পর্যন্ত অপরাজিত তারা। ৬ ম্যাচে ৪টি জিতে নিল বাংলা।
প্রথম ইনিংসে শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। গত ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া ওপেনার অভিষেক দাসকে বসিয়ে এই ম্যাচে করণ লালকে নামিয়েছিল বাংলা। তিনি ৩০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামি মাত্র ১০ রান করেন। অভিমন্যু করেন ৫৭ রান। তিনি শুরুটা ভাল করেছিলেন, কিন্ত বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। অধিনায়ক মনোজ মাত্র ১ রান করেন। অনুষ্টুপকে সঙ্গ দেন শুভঙ্কর বল। তিনি ৩০ রান করলেও ৯৭টি বল খেলেন। ক্রিজে থিতু হয়েও বড় রান করতে পারলেন না অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শুভঙ্কর। তবে তিনি অনুষ্টুপকে সুযোগ করে দেন ইনিংস গড়ার। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। তিনি ৮৩ বলে ৪৯ রান করেন।
অনুষ্টুপ করেন ১৪৫ রান। তরুণ স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৩৭ রান। ১৮ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন আকাশ দীপ। তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৭ রান করেন মুকেশ কুমার। ঈশান পোড়েল ১৪ রানে অপরাজিত। লোয়ার অর্ডার রান করায় বাংলার রান তোলায় ভাটা পড়েনি। অনুষ্টুপ ফিরে গেলেও রান ওঠে। যা বাংলাকে বাড়তি সুবিধা করে দেয়।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে সেরা হলেন বাংলার পেসার আকাশ দীপ। ফাইল চিত্র
বল হাতে দাপট দেখান আকাশ দীপ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই হরিয়ানার প্রথম ইনিংস শেষ করে দিয়েছিল বাংলা। তৃতীয় দিনে হরিয়ানাকে ফলো-অন করান মনোজ। ৭ উইকেট পড়ে যায় তাদের। শেষ দিনে বাকি ৩ উইকেট চলে যায় বাংলার। ইনিংস এবং ৫০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। ম্যাচের সেরা আকাশ দীপ।