রঞ্জির ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে পরিকল্পনায় বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল (বাঁ দিকে) ও মনোজ তিওয়ারি। —নিজস্ব চিত্র
৩৩ বছর আগে শেষ বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। তার পরে ফাইনালে গিয়েও ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে। এ বার যাতে কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব না থাকে সে দিকে নজর বাংলা শিবিরের। তিন বছর আগে এই সৌরাষ্ট্রের কাছেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। এ বার সেই হারের বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে ঘরের মাঠ ইডেনে খেলতে নামবে বাংলা।
ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার অধিনায়ক মনোজ বলেছেন, ‘‘কয়েক জন ক্রিকেটার বদলার কথা ভাবছে। কিন্তু বাকিদের লক্ষ্য শুধু নিজেদের পারফরম্যান্সে। আমরা ভাল প্রস্তুতি করেছি। মাঠে সেটা কাজে করে দেখাতে হবে।’’ ২০১৯-২০ মরসুমে ফাইনালে বাংলার যে দল সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরেছিল সেই দলেও ছিলেন মনোজ। এ বারই হয়তো শেষ বার খেলতে নামছেন তিনি। রঞ্জি জিতেই ক্রিকেট বিদায় নিতে চান রাজ্যের মন্ত্রী।
এ বার দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। দলের খেলায় খুশি তিনি। আর হবেন নাই বা কেন, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে বাংলা যে খেলাটা খেলেছে ফাইনালে সেটা দেখাতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
দলের ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ভাল ছন্দে রয়েছেন। তিন বছর আগের যে ফাইনালে বাংলা খেলেছিল সেই দলের অধিনায়ক অভিমন্যু এ বার ব্যাট হাতে দাপট দেখাতে চান। সঙ্গে রয়েছেন তরুণ সুদীপ ঘরামি। সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খুব ভাল খেলেছেন সুদীপ। ফাইনালেও তাঁর কাছে সেই আশা রাখছে বাংলা দল।
বাংলার ব্যাটিংয়ের সেরা স্তম্ভ এই মুহূর্তে অনুষ্টুপ মজুমদার। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার দারুণ ছন্দে রয়েছেন। বাংলার ব্যাটিংকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁর উপরেই থাকবে। ৯ ম্যাচে ৭৯০ রান করেছেন অনুষ্টুপ। তাঁকে সাহায্য করার জন্য রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ ও অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েলও ভাল খেলছেন।
শুধু ব্যাটিং নয়, বল হাতেও বাংলার পেসাররা দাপট দেখিয়েছেন আগের দুই ম্যাচে। দুই পেসার আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমার লাল বলকে কথা বলাচ্ছেন। নতুন বলে তাঁরা দাপট দেখালে পুরনো বলে আবার ঈশান পোড়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। এ ছাড়া শাহবাজ়ের নেতৃত্বে বাংলার স্পিন বিভাগও ভরসা দিচ্ছেন অধিনায়ককে।
তবে সামনে শক্তিশালী সৌরাষ্ট্র। দলে ফিরেছেন জয়দেব উনাদকাট। রয়েছেন শেলডন জ্যাকসন, অর্পিত বাসবদা, চিরাদ জানির মতো পোড়খাওয়া ব্যাটার। উনাদকাটকে সঙ্গ দেবেন চেতন সাকারিয়া। তাই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে সতর্ক বাংলা। এ বার আর তীরে এসে তরী ডোবাতে চান না মনোজরা।