এশিয়া কাপ কোথায় হবে তা এখনও জানায়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। কিন্তু আগে থেকে ঘোষণা করে দিলেন রোহিত শর্মার সতীর্থ। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তান থেকে সরে গিয়েছে এশিয়া কাপ। কোন দেশে সেই প্রতিযোগিতা হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এগিয়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। কিন্তু সেখানে এশিয়া কাপ খেলতে যেতে চান না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর মতে, শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ হলে সব থেকে ভাল হবে।
একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ হবে। এক দিনের বিশ্বকাপের আগে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। আমিরশাহিতে তো অনেক প্রতিযোগিতা হল। এ বার শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ হলে আমি খুব খুশি হব।’’
প্রথমে পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। কিন্তু বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছিলেন, ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। জয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতিও। প্রথমে জয়ের এই কথার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রামিজ় রাজা। ভারত না গেলে পাকিস্তানও এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন নাজম শেটি। তিনি এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে জরুরি বৈঠকের আবেদন করেছিলেন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হবে না। বদলে কোন দেশে প্রতিযোগিতা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তার মধ্যেই নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সতীর্থ।
ভারতের বিরোধিতায় এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরে যাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা হলে কি পাকিস্তানও ভারতে আয়োজিত এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে আসবে না? ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতে, অত সাহস পাকিস্তানের নেই। বাবর আজ়মদের ভারতে আসতেই হবে। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা এর আগেও দেখা গিয়েছে। যখনই আমরা বলি পাকিস্তানে খেলতে যাব না, ওরা বলে ভারতে আসবে না। কিন্তু আমার মনে হয় সেটা সম্ভব নয়। ওদের খেলতে আসতেই হবে।’’
কেন তিনি এই কথা বলেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারতের খেলা, না খেলার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আইসিসি জানে, ভারত না খেললে আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই ভারতকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান না এলে তাতে কিছু যায় আসে না। প্রতিযোগিতার উপর তার কোনও প্রভাব পড়বে না। উল্টে পাকিস্তানেরই ক্ষতি। তাই ওদের আসতেই হবে।’’