২৭ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন বেঙ্কটেশ প্রসাদ। পাকিস্তানকে আবার কড়া জবাব দিলেন ভারতের প্রাক্তন পেসার। —ফাইল চিত্র
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেঙ্কটেশ প্রসাদ-আমির সোহেল দ্বৈরথ ক্রিকেটীয় ইতিহাসে অন্যতম সেরা মুহূর্ত। প্রসাদকে চার মেরে বাউন্ডারির দিকে ব্যাট দেখিয়ে কটূক্তি করেছিলেন সোহেল। তার জবাব মুখে দেননি প্রসাদ। পরের বলে সোহেলকে বোল্ট করে মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত করেছিলেন ভারতীয় পেসার। ২৭ বছর পরে আবার বোমা ফাটালেন প্রসাদ। এ বার তাঁর নিশানায় সেই ম্যাচে সোহেলের সতীর্থ জাভেদ মিয়াঁদাদ।
এশিয়া কাপ ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তার মধ্যে নাক গলিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিয়াঁদাদ। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রসাদ। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ককে খোঁচা দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ইউ টিউবে এক ভিডিয়োয় মিয়াঁদাদ বলেছেন, “আগেও বলেছিলাম, ভারত আসবে না তো আসবে না। তাতে আমাদের কিছু এসে যাবে না। ওরা গোল্লায় যাক। আমরা তো দেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলছি। ওদের আসার ব্যাপারটা আইসিসি-র উপর নির্ভর করছে। যদি আইসিসি ওদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তা হলে ওদের রাখারই দরকার নেই। আইসিসি-র উচিত প্রত্যেক দেশের জন্যে একটা করে নিয়ম রাখা। যদি ওরা না আসে, তা হলে সংস্থার কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।”
এই মন্তব্যের জবাবে এক লাইনের টুইট করেছেন প্রসাদ। তিনি লিখেছেন, ‘‘কিন্তু ওরা তো গোল্লায় যেতে চাইছে না। ওদের গোল্লায় পাঠাবে কে’’ প্রসাদের এই টুইট থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তানের ক্ষমতা নেই ভারতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার। উল্টে, ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আইসিসি। তাই মিয়াঁদাদের এই মন্তব্যের কোনও যুক্তি নেই।
মিয়াঁদাদ অবশ্য ভারতের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত কেন খেলতে চাইছে না? পাকিস্তানে এসে খেলতে কি ভয় পাচ্ছে? আমাদের সময়েও দেখতাম, ওরা হারের ভয়ে খেলতে চাইত না। কারণ হেরে গেলে খুবই সমস্যায় পড়ে যেত। ওদের দেশের সমর্থকরা জঘন্য। ভারত যার কাছেই হারুক না কেন, ওদের সমর্থকরা ক্রিকেটারদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়। সেটাকেই ওরা ভয় পায়।” একদম শেষে আইসিসি-র উদ্দেশে মিয়াঁদাদ বলেছেন, “আইসিসি-র উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। কোনও দেশ এ রকম ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই দরকার। একটা নিয়ম তো হওয়া উচিত।”
ছোট্ট একটি টুইটে মিয়াঁদাদকে সব কিছুর জবাব দিয়ে দিলেন ভারতের প্রাক্তন পেসার।