কুইন্টন ডি’কক। ফাইল চিত্র
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে সব ম্যাচ খেলবেন না কুইন্টন ডি’কক। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তাই দ্বিতীয় টেস্ট থেকে হয়তো পিতৃকালীন ছুটিতে থাকবেন তিনি। প্রথম ম্যাচ যদিও খেলতে পারেন ডি’কক।
এ দিকে সোমবার এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুনগি এনগিডি তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের বর্তমান ছবি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দল ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে। যে পদ্ধতিতে আমরা অনুশীলন করছি, তাতে বলে দেওয়াই যায় ঠিক দিশাতেই এগোচ্ছি। আসন্ন টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ভাল জায়গায় থাকার ইচ্ছে রয়েছে। দলের প্রত্যেকে সেই আশাই করে। তার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করছে সবাই।’’ যোগ করেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজ় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে উন্নতির চাকা ঘোরাবে। আমাদের ঠিক দিশাতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি তাদের পেস বোলিং বিভাগ। কাগিসো রাবাডা, অনরিখ নখিয়ের পাশাপাশি রয়েছেন এনগিডি নিজে। তিনি জানেন, দলে কারও জায়গাই স্থায়ী নয়। নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে গেলে ভাল খেলতেই হবে। বলেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। তবে সেটা খুবই ইতিবাচক।’’ আরও বলেছেন, ‘‘এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা একে অন্যের প্রতি ঈর্ষা করতে শেখায় না। বরং ভাল বল করার তাগিদ বাড়ায়। প্রথম একাদশে নিজেদের জায়গা নিয়ে কেউই নিশ্চিত নয়। এটাই ভাল খেলতে আমাদের বাধ্য করবে।’’
এনগিডি মানছেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে খেলা খুবই কঠিন। কেউ যদি মনে করেন, মানসিক ভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়ছেন, তা হলে তিনি খেলার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এনগিডি এ ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। বলে দিলেন, ‘‘যারা বলয়ের মধ্যে থেকে খেলতে সমস্যায় পড়ছে, তারা অবশ্যই কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে পারে। সবার মানসিক পরিস্থিতি সমান হয় না। আমারও কিছু সময় খুব বিমর্ষ লাগত।’’