নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন পৃথ্বী। — ফাইল চিত্র
এক মহিলা ভক্তের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে কিছু দিন আগেই শিরোনামে এসেছিলেন পৃথ্বী শ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় তিনি। এ বার বিষয় তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে কিছু কথা লিখেছেন পৃথ্বী, যা দেখে অনেকের ধারণা, তাঁর সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন পৃথ্বী। আবার অনেকে মনে করছেন, প্রেমে হৃদয় ভেঙেছে পৃথ্বীর। সে কারণেই এমন কথা লিখেছেন।
পৃথ্বী লিখেছেন, “কিছু মানুষ আপনাকে ততটাই ‘ভালবাসবে’ যতটা তারা আপনাকে ব্যবহার করতে পারবে। যখন কিছু পাওয়ার আশা শেষ হয়ে যাবে, তখন দায়বদ্ধতাও শেষ হয়ে যাবে।” পৃথ্বীর এই পোস্টের ইঙ্গিত কার দিকে, সেটা অবশ্য কেউই ধরতে পারেননি। পৃথ্বী নিজেও কোনও ব্যাখ্যা দেননি।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন পৃথ্বী। রঞ্জি ট্রফিতে ভাল খেলার কারণেই সমর্থকরা তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু একটি ম্যাচেও প্রথম একাদশে দেখা যায়নি পৃথ্বীকে। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য বলেছিলেন, পৃথ্বীকে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
সেই স্টোরি পৃথ্বীর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সান্তাক্রুজের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নৈশভোজে গিয়েছিলেন পৃথ্বী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কিছু বন্ধু। সেই সময় হোটেলে থাকা কিছু ভক্ত পৃথ্বীর সঙ্গে নিজস্বীর আবদার করেছিলেন। পৃথ্বী হাসিমুখে দু-এক জনের আবদার মিটিয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক ভক্ত আসতে থাকায় তিনি বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, তিনি এখানে খাবার খেতে এসেছেন। তাই তাঁকে যেন আর বিরক্ত না করা হয়। তার পরেও ওই ক’জন ভক্ত বিরক্ত করছিলেন। এর পর পৃথ্বীর বন্ধু হোটেলের ম্যানেজারকে ফোন করে অভিযোগ জানান।
তখন হোটেলের ম্যানেজার ওই দলটিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এতেই তাঁরা রেগে যান। যখন পৃথ্বী এবং তাঁর বন্ধুরা হোটেল থেকে বেরোচ্ছেন, তখন দেখেন বেসবল ব্যাট নিয়ে ওই দলটি অপেক্ষা করছে। তাঁরা পৃথ্বীর বন্ধুর গাড়ি আক্রমণ করেন। সামনের এবং পিছনের কাচ ভেঙে দেন।
অভিযোগকারী বলেন, পৃথ্বীর মতো ক্রিকেটার গাড়িতে বসে রয়েছেন। তাই কোনও ঝামেলা চান না। পৃথ্বীকে অন্য গাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই গাড়িকে তাড়া করেন ওই ভক্তরা। জোগেশ্বরী লোটাস পেট্রল পাম্পের সামনে সেই গাড়ি থামানো হয়। ভক্তদের গাড়ি থেকে এক তরুণী বেরিয়ে এসে দাবি করেন, ৫০ হাজার টাকা না দেওয়া হলে তিনি পৃথ্বীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করবেন।
এর পর পৃথ্বীর বন্ধু ওশিওয়ারা থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে অভিযুক্তদের খুঁজতে শুরু করে। হোটেলের কর্মীরা ওই ভক্তদের দলের কয়েক জন ফোন নম্বর নিয়ে রেখেছিলেন। সেখান থেকে সানা ওরফে স্বপ্না গিল এবং শোভিত ঠাকুর নামে দু’জনের নাম পাওয়া যায়। পুলিশ মোট আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। স্বপ্নাকে কিছু দিন পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখনও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি।